মা সীতা এই এলাকা দিয়েই নাকি পাতালে প্রবেশ করেছিলেন, এখানকার রহস্য জেনে চমকে যাবেন!

Underworld of India: এই পৃথিবী তিন ভাগে বিভক্ত। স্বর্গ, মর্ত্য এবং পাতাল। স্বর্গে বাস দেবতাদের, মর্ত্যে মানুষের এবং পাতালে দানবের। এই পৃথিবীতে মাটির নীচে নাকি রয়েছে সেই পাতাললোক! জানেন কি, আমাদের দেশেই এমন জায়গা আছে যেখান থেকে পাতাললোকের শুরু বলে এখনও বিশ্বাস করেন স্থানীয় বাসিন্দারা?।

মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে পাতালকোট নামক একটি জায়গা রয়েছে। একে স্থানীয়রা ‘পাতাল লোক’ বলে। জায়গাটি মাটি থেকে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নিচে অবস্থিত। সাতপুরার সুন্দর সমতল ভূমিতে অবস্থিত পাতালকোট পৃথিবীর সবচেয়ে অনন্য স্থানের পাশাপাশি অত্যন্ত সুন্দর। ১২টি গ্রাম নিয়ে গঠিত পাতালকোট। এই এলাকায় গোন্ড ও ভারিয়া উপজাতির মানুষ বাস করে।

Image

মধ্যপ্রদেশের এই জায়গাটি খুবই সুন্দর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। জানিয়ে রাখি, সাতপুরার এই পাতালকোটে প্রচুর ভেষজ রয়েছে। সব ধরনের অনন্য এবং দুর্লভ ভেষজ এখানে বিদ্যমান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এই স্থানটি প্রায়ই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এরমধ্যে এমন তিনটি গ্রাম রয়েছে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারেনা, যার কারণে এখানে সবসময় সন্ধ্যার মত অন্ধকার থাকে।

এখানকার মানুষ বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আপনি এই এলাকায় যাওয়ার সাথে সাথে ঘনঘন গাছপালা, বনজঙ্গল ও পশুপাখি দেখতে পাবেন। এখানে বসবাসকারী লোকেরা নিজেদের জন্য খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন করে। এখানকার জলের একমাত্র উৎস দুধ নদী। দুপুরের পর এই এলাকা এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে এর উপত্যকার গভীরে সূর্যের আলো পৌঁছায় না।

Image

গভীর জঙ্গলে ভরা এই এলাকা দিনের বেলাও অন্ধকারে ডুবে থাকে। এখানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গভীর খাদ রয়েছে। যার শেষ কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এই খাদ থেকেই পাতাল শুরু হয়েছে বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। কথিত আছে যে, এই এলাকাতেই পাতাল প্রবেশ হয়েছিল সীতার। আবার কেউ মনে করেন অহিরাবণের হাত থেকে রাম-লক্ষণকে বাঁচাতে এখান দিয়েই পাতাল প্রবেশ করেছিলেন হনুমান।