সাধারণ মানুষ ট্রেনের ভাড়া নিয়ে প্রায় অভিযোগ করে। তাদের দাবি সরকার যতটা ভাড়া নেয়, ঠিক ততটা সুবিধা দেয় না। ভারতবর্ষে প্রতিদিন ১২ হাজারের বেশি ট্রেন চলাচল করে। আপনি যদি কখনো ট্রেনে ভ্রমণ করেন তাহলে বুঝবেন ভাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী হয়। কিন্তু জানেন কি, ভারতবর্ষে এমন একটি ট্রেন রয়েছে যেটিতে আপনি বিনামূল্যে ভ্রমণ করতে পারেন।
জানিয়ে রাখি, এই ট্রেনটি হিমাচল প্রদেশ এবং পাঞ্জাবের সীমান্তে চলাচল করে। আপনি যদি ভাকরা-নাঙ্গাল বাঁধ দেখতে চান তাহলে বিনামূল্যে এই ট্রেনে ভ্রমণ উপভোগ করতে পারেন। আসলে এই ট্রেনটি নাঙ্গল থেকে ভাকরা পর্যন্ত চলে। গত ৭৪ বছর ধরে ২৫টি গ্রামের মানুষ বিনামূল্যে এই ট্রেনে যাতায়াত করছে। তবে নিশ্চয়ই ভাবছেন এই ট্রেন বিনামূল্যে যাতায়াত করে কিভাবে?
আসলে ভাকরা বাঁধ সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ট্রেন চালানো হয়। যাতে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় ভাকরা বাঁধ কিভাবে নির্মিত হয়েছে। তাদের জানা উচিত বাঁধ তৈরিতে কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ভাকরা বিয়াস ম্যানেজমেন্ট বোর্ড এই ট্রেনটি পরিচালনা করে। এই রেলপথ তৈরির জন্য পাহাড় কেটে দুর্গম পথ তৈরি করা হয়েছিল।
গত ৭৪ বছর ধরে এই ট্রেনটি চলছে। এটি ১৯৪৯ সালের সর্বপ্রথম চালানো হয়েছিল। ২৫টি গ্রামের প্রায় ৩০০ জন মানুষ প্রতিদিন এই ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করে। এই ট্রেনের মাধ্যমে ছাত্ররা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়। ট্রেনটি নাঙ্গল থেকে ভাকরা বাঁধ পর্যন্ত দিনে দুইবার চলে এবং ৫০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। এই ট্রেনটির বিশেষত্ব হলো এর কাঠামো বহু পুরনো এবং বগিগুলি সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি। এই তিন বগি বিশিষ্ট ট্রেনে টিটি দেখতে পাবেন না।