Indian Railways: ভারতের রেল নেটওয়ার্ক অনেক বড়। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম রেল নেটওয়ার্ক গুলির মধ্যে একটি। ভারতের প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী রেলপথের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। ট্রেনে ভ্রমণ করা খুবই আরামদায়ক। একইসঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্তে পৌঁছানো যায়। ভারতের অনেক রেলপথ আছে যেগুলো অনেক দীর্ঘ।
রেলপথকে দেশের ‘লাইফ লাইন’ বলা হয়। এর মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্তের মানুষ আরেক প্রান্তে খুব সহজেই এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পৌঁছাতে পারে। গরিব হোক বা ধনী সকল শ্রেণীর মানুষ দূরবর্তী স্থানে যাত্রা করতে রেলপথকে বেছে নেন। বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেনগুলির গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে এক-দুইদিন সময় লাগে। তবে এমন একটি রেলপথের সম্পর্কে বলা হয়েছে, যে দূরত্বটি অতিক্রম করতে মানুষেরা ক্লান্ত হয়ে যায়।
দীর্ঘতম রুটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যদি ট্রেন আরও দেরি করে। এতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যাইহোক এই প্রতিবেদনে এমন একটি রেলপথ সম্পর্কে বলা হয়েছে, যা ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম ট্রেন রুট এবং যাতায়াত করতে তিন দিনেরও বেশি সময় লেগে যায়।
কন্যাকুমারিকা থেকে ডিব্রুগড় ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন রুট। এই রুটে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। যেমন — ডিব্রুগড় বিবেক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এই দীর্ঘ যাত্রার মধ্যে ৫৯টি রেলস্টেশন পড়ে। একই সময়ে ট্রেনটির ৪,২৭৩ কিলোমিটার যাত্রা সম্পন্ন করতে প্রায় ৮০ ঘণ্টায় লেগে যায়। এই ট্রেনে যেতে তিন দিনেরও বেশি সময় লেগে যায়।
এই ট্রেনে তিন দিনের বেশি দীর্ঘযাত্রা করতে গিয়ে মানুষেরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এটি ভারতের দীর্ঘতম ট্রেন রুট। কন্যাকুমারিকা থেকে ডিব্রুগড় যাওয়ার সময় এই ট্রেনটিকে প্রায় ৮টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় — আসাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কেরল।