জানেন ইজরায়েল ভারতের কোন রাজ্যের সমান? সেখানে কতগুলি শহর রয়েছে ও বেতন কত?

বলুন তো ভারতের কোন রাজ্যের সমান ইজরাইল দেশটি?

Israel : ইজরায়েলকে নিয়ে সারা বিশ্বে একটা কৌতুহল রয়েছে যে একটি ছোট্ট দেশ হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে গণ্য করা হয়। সেখানে আপনি কোন দরিদ্রকে দেখতে পাবেন না। এদেশে মানুষের গড় বেতন এত বেশি যা ভারতীয়দের অবাক করবে। বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলির মধ্যে ইজরায়েল একটি।

Image

ইজরায়েল তার প্রতিটি নাগরিকের সুখী জীবনযাপনের জন্য যে সুব্যবস্থা গড়ে তুলেছে তার কোন সন্দেহ নেই। চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা এবং কৃষিতে সেখানে অসাধারণ কাজ হয়েছে। গত কয়েক দশক ধরে সেখানকার মুদ্রা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় জায়গা করেছে।

Image

ইজরাইলের মোট আয়তন মাত্র ২১,৯৩৭ বর্গ কিলোমিটার, ভারতের আয়তন এর থেকে ১৫০ গুণ বেশি। ভারতের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি আর সেখানে ইজরাইলের জনসংখ্যা মাত্র ৯৬ লাখ। এদিকে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ইজরায়েল উন্নত। তাই এদেশের প্রতিটি নাগরিকের গড় বয়স ৮৩.৩৪ বছর। সেখানে ভারতীয়দের গড় বয়স ৬৭ বছর।

Image

ইজরায়েলের আয়তন ভারতের মিজোরাম রাজ্যের প্রায় সমান। ভারতের মাত্র তিনটি রাজ্য ইজরায়েলের চেয়ে ছোট, যেগুলি হল মেঘালয়, মনিপুর এবং গোয়া। ইজরায়েলের সাধারণত ইহুদি ব্যক্তিরাই নাগরিকত্ব পেতে পারে। তাই সারা বিশ্বের ইহুদিরা সেখানে পৌঁছায় এবং নাগরিকত্ব লাভ করে।

Image

ইজরায়েল এমন একটি দেশ যার অর্থনৈতিক অত্যন্ত শক্তিশালী। সেখানে কর্মরত প্রত্যেক ব্যক্তির গড় বেতন ভারতীয় মুদ্রায় ২.৭৬ লাখ টাকা। আর ভারতে একজন ব্যক্তির গড় বেতন প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এদেশে মাত্র ১৬টি শহর রয়েছে, তার মধ্যে ১০টি বড় শহর এবং ৬টি জেলা, যা প্রশাসনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

Image

ইজরায়েলকে ‘স্টার্ট আপ ন্যাশন’ বলা হয়। এদেশের ৩০০০টির বেশি হাইটেক কোম্পানির স্টার্ট আপ রয়েছে। এগুলির মধ্যে বেশিরভাগ প্রযুক্তি বিষয়ক। এছাড়া এখানে বাধ্যতামূলকভাবে নারী-পুরুষ সবাইকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে হয় কমপক্ষে তিন বছরের জন্য। আমেরিকা ও রাশিয়ার পর এটি অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। যাইহোক, ইজরায়েল কখনো যুদ্ধে হারেনি।

ইজরায়েলকে ক্রমাগত আক্রমণ, দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধ সত্ত্বেও এই দেশ সুখ সূচকে বিশ্বের ১১তম স্থানে রয়েছে। ইসরায়েলিরা এতটাই খুশি যে তারা মরতে চায় না। এছাড়া একটি মৃত ভাষাকে সফলভাবে পুনর্জীবিতই করেনি বরং এটিকে (হিব্রু ভাষা) সরকারি ভাষাও করেছে। এদেশের ইকো সিস্টেম খুবই ভালো। তারা বিশ্বকে জানিয়েছে কিভাবে বর্জ্য জলকে পুনঃব্যবহার করা যায়। এমনকি এখানে গাছের সংখ্যা কমছে না, বরং বেড়েই চলেছে।