না ফেরার দেশে চলে গেলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। এই অভিনেতার শারীরিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ হতে শুরু করেছিল গত মঙ্গলবার থেকেই। সেই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল, এবার সেটাই সত্যি প্রমাণিত হলো। তার কোটি কোটি অনুরাগীদের প্রার্থনা কাজে এলো না। অল্প বয়সেই চলে যেতে হলো ইরফানকে।
কোলনে ইনফেকশন নিয়ে গতকাল কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন ইরফান খান। গত দুই বছর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি নিউরো এন্ডোক্রিন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর লন্ডনে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলে। গত বছর এপ্রিলে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তবুও তিনি নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু আচমকাই পরিস্থিতি হঠাৎ বদলে যায়।
গত শনিবার, মাকে হারান ইরফান খান। শেষবারের মতো মায়ের দর্শন পেয়েছিলেন ভিডিও কলের মাধ্যমে। মায়ের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথাতেই চলে গেলেন এই বলিউড অভিনেতা।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রুপালি পর্দা থেকে দূরে ছিলেন ইরফান খান। অবশেষে ক্যান্সার জয় করে বক্সঅফিসেও ফিরে এসেছিলেন। তাঁর শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল আংরেজি মিডিয়াম। গত ১৩ই মার্চ মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি
১৯৬৭ সালে জন্মেছিলেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। ১৯৮৮ সালে রুপোলি পর্দায় তার পথ চলা শুরু হয়। এর আগে বহু টেলিভিশন ও থিয়েটারে কাজ করেছেন তিনি। এমনকি তার জগত কেবল বলিউডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি হলিউডেও অভিনয় করেছেন।
প্রায় ৩৫ বছর ধরে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন বিভিন্ন ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তার কয়েকটি ছবি উল্লেখ না করে পারা যায় না, যে গুলি হল মকবুল, হাসিল, পান সিং তোমার, পিকু, হিন্দি মিডিয়াম।
এছাড়াও, তিনি হলিউডের যেসব ছবিতে অভিনয় করেছেন তা প্রশংসনীয়। ইরফানের অভিনীত হলিউড মুভি গুলি হল – স্লামডগ মিলেনিয়ার, লাইফ অফ পাই,জুরাসিক ওয়ার্ল্ড, দ্য আমেজিং স্পাইডারম্যান ইত্যাদি। তাঁর এই আকস্মিক চলে যাওয়ার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র জগতে।