India’s Neighboring Country Nepal: আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালে ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়া যেতে পারি। এখানকার সংস্কৃতি ও জলবায়ুর সারা বিশ্বের মানুষের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। প্রায় মানুষ নেপালে বেড়াতে আসেন। নেপাল সমগ্র বিশ্বের মধ্যে এমন একটি দেশ যারা কখনো কোনো দেশের দাস ছিল না। এই কারণেই এখানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় না।
যাইহোক, নেপাল পর্বত আহরণের জন্য বিখ্যাত একটি ছোট্ট দেশ। তবে এটি ছাড়া রাজধানী শহর কাঠমান্ডু থেকে ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধে মধ্যে সাতটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সাইট রয়েছে। এছাড়াও নেপালে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত চারটি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, যা এটিকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঐতিহ্যবাহী স্থানের দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এদেশেই অবস্থিত।
১৪৭,১৮১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ছোট্ট দেশটি কখনো জাতিগত দাঙ্গার সম্মুখীন হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রাচীন দেশ হওয়ায় নেপালে ১২৩টি ভাষার চল রয়েছে এবং এখানে ৮০টি জাতিগোষ্ঠী বাস করে। তবুও তারা অনেক শান্তিতে থাকে।
সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নেপালের ত্রিভুজ অনন্য কারণ এখানকার পতাকা দুটি ত্রিভুজ নিয়ে গঠিত। এতে উপরে ত্রিভুজের চাঁদ এবং নিচের ত্রিভুজের সূর্যের চিত্র রয়েছে, যা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব করে। একইভাবে বলা হয়েছে যে এই পতাকাটি হিমালয়েরও প্রতিনিধিত্ব করে।
আমরা যেহেতু সবাই ঘড়ি দেখে কাজ গুছিয়ে রাখি, তবে আপনি যদি ভারতীয় সময় অনুযায়ী নেপালে কোন কাজ করেন, তবে এর জন্য আপনাকে অনেক মূল্য দিতে হতে পারে। কারণ নেপালের সময় ভারতের চেয়ে ১৫ মিনিট এগিয়ে রয়েছে। আপনি যদি ভারতীয় সময় অনুযায়ী নেপালে ট্রেন ধরবেন ভাবেন, তাহলে ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছে যান।