কয়েক মাস আগে ভারত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল অতি দুঃখের সাথে। কিন্তু সেই দুঃখ আজও প্রতিটি ভারতবাসীর মনে তরতাজা। কোহলিকেও রোজ এই দুঃখ প্রতিদিন কুরে কুরে খায়। সেই অতীত কোন ভাবেই ভোলা যায় না। তাই এতদিন পরে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি মুখ খুললেন সেমিফাইনাল আর এর আসল কারণটা কি –
অল্প রানের টার্গেট হলেও নিউজিল্যান্ডের পেসারদের চাপে খুবই দ্রুত ফিরে যেতে হয়েছিল ভারতীয় টপঅর্ডার দের। রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল, বিরাট কোহলি ভারতীয় দলের মোট ১০ রানের আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন। সম্ভবত ভারত তখনই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায়। এরপর ঋষভ পান্ত এবং হার্দিক পান্ডিয়া মিডল অর্ডারে কিছুটা চেষ্টা করেছিলন। কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতার অভাবে ভুল শট খেলে আউট হয়ে ফিরে আসেন।
শেষ পর্যন্ত লড়াকু জুটি বাঁধেন মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রবীন্দ্র জাদেজা। রবীন্দ্র জাদেজা দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। তখন যেন আশার আলো পুনরায় জেগে উঠেছিল। অবশেষে মহেন্দ্র সিং ধোনি রান আউট হলে সকল আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তাই হলো ভারতকে বিদায় নিতে হয় সেমিফাইনাল আসর থেকে।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া নিয়ে বিরাট কোহলি মুখ খুললেন,, “আমি কি ব্যর্থতায় প্রভাবিত হই? হ্যাঁ, হই তো। প্রত্যেকেই হয়। দিনের শেষে আমি জানতাম যে, দলের প্রয়োজন ছিল আমাকে। আমার হৃদয়ে এই বিশ্বাস জোরালো ছিল যে, অপরাজিত থেকে ভারতকে সেমিফাইনালে জিতিয়ে ফিরব। হতে পারে আমার ইগো এমন ভেবেছিল। এমন পূর্বাভাস কি করা যায়? এটা করার পক্ষে তীব্র ইচ্ছা বা অনুভূতিই শুধু থাকতে পারে।” “
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি আরও জানিয়েছেন যে , “আমি হারতে ঘৃণা করি। মাঠে নেমে এটা বলতে চাই না যে, এটা করতে পারতাম। যখন আমি মাঠে নামি তখন এটা বিশাল সম্মান বলে মনে করি। যখন আমি বেরিয়ে যাই, তখন কোনও এনার্জিই পাই না। আমরা এমন একটা উদাহরণ রেখে যেতে চাই যেন ভবিষ্যতের ক্রিকেটাররা আমাদের মতো খেলতে চাওয়ার কথা বলে।”