২০০৭ সাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রড এর ওভারে যুবরাজ সিং ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এবং তা আজও খবরের শিরোনামে রয়েছে। এই ওভারের দৃশ্য কোন ক্রিকেটপ্রেমীর ভোলার নয়। ওই স্বপ্নের রাতে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে যুবরাজ সিং নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন তিনি হলেন আসল সিক্সার কিং।
যুবরাজ সিং জানিয়েছেন, এই ছক্কা মারার বিষয় তার কোনো প্ল্যান ছিল না। এমনকি তিনি কখনও কল্পনাও করতে পারেনি যে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকাবেন। তবে এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে গিয়েই ভেবেছিলেন প্রতিটি বলই মাঠের বাইরে পাঠাবো।
স্টুয়ার্ট ব্রডের আগের ওভারে, যুবরাজ সিং পরপর দুই বলে দুটি ৪ মারেন, ওভার শেষে অপর প্রান্তের দিকে হেটে যাওয়ার সময় অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ তাকে বলেন, ওই শট দুটো পুরো বেকার ছিল। যুবরাজ সিং তার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে, ভালো করে শুনতে পাইনি আর একবার বলো। এরপর এই দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এদিন যুবরাজ সিং ইনস্টাগ্রামে লাইভ চলাকালীন পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন সেদিন কি হয়েছিল। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ যে ভাষায় তাকে গালাগালি করেছিল সেটা তিনি ইনস্টা লাইভ চলাকালীন বলতে রাজি হননি। দুজনের গালাগালি শুরু হওয়ার পর, ফ্লিনটফ বলে, তুই মাঠ থেকে বেরিয়ে আয় তোর গলা কেটে দেবো। তখন যুবরাজ সিং বলে, এই ব্যাট টা দেখেছো, কোথায় মারতে পারি। তখন আম্পায়াররা গিয়ে দুজনকে সামাল দেন।
এরপরে যুবরাজ সিং সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতিটি বলই মাঠের বাইরে পাঠাবো। সেই ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বল করতে আসেন স্টুয়ার্ট ব্রড আর সেই ওভারেই মিটিয়ে নেন সমস্ত রাগ তিনি। ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেন, যা এর আগে তিনি কখনোই কল্পনা করতে পারেননি। এরপরে তার ব্যাট নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল, এমনকি পরীক্ষাও করতে চেয়েছিলেন।
ওই ম্যাচে যুবরাজ সিং মাত্র ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৬ বলে ৫৮ করে আউট হন। এই বিধ্বংসী ইনিংসের সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৭টি ছক্কা। ভারত এই ম্যাচটি ইংল্যান্ডকে ১৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল।