একটি তরমুজের জন্য ভারতবর্ষে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল, এতে হাজার হাজার সৈন্য প্রাণ হারান

ইতিহাস বইতে এমন অনেক যুদ্ধের কথা শুনে থাকবেন যেখানে বেশিরভাগই যুদ্ধ হয়েছে পররাষ্ট্রের উপর সীমানা সম্প্রসারণ বা আধিপত্য বিস্তারের জন্য। কিন্তু ইতিহাসে এমন একটি যুদ্ধের কথা বর্ণিত রয়েছে যা হাস্যকর। একটি তরমুজের জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয় এবং তাতে হাজার হাজার সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন।

প্রায় ৪০০ বছর আগে রাজস্থানের বিকানের ও নাগৌর সীমান্তে একটি তরমুজের জন্য দুই খামার মালিকের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। এর প্রভাব দুই রাজ্যেও পড়েছিল। একসময় উভয় রাজ্য দুটির মধ্যে তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিহাসে এই অদ্ভুত যুদ্ধটি ‘মাটিরা কি রাদ’ নামে পরিচিত। আসলে রাজস্থানে তরমুজকে মাটিরা বলা হয় আর আর রাদ মানে হলো যুদ্ধ।  

Image

যুদ্ধটি ১৬৪৪ সালে সংঘটিত হয়। আসলে বিকানের রাজ্যটির শেষ সীমায় একটি তরমুজের গাছ জন্মেছিল কিন্তু সেটি ছড়িয়ে পড়ে নাগৌর সীমান্তে। এরপর উভয় গ্রামবাসী দাবি করে যে তরমুজ ফলটি কেবল তাদেরই। এই নিয়ে বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে উভয় গ্রামের লোকেরা রাতের বেলাতেও তরমুজ গাছটিকে পাহারা দিত, যাতে কেউ উপড়ে ফেলতে না পারে। 

শেষ পর্যন্ত এই ফল নিয়ে শুরু হওয়া বিবাদ একসময় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে দুই রাজ্যেরই হাজার হাজার সৈনিক নিহত হন এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধটি বিকানের রাজ্যের জয় হয়েছিল। কথিত আছে, বিকানেরের সেনাপতির নেতৃত্বে ছিলেন রামচন্দ্র মুখিয়া আর নাগৌরের সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন সিংভি সুখমল।

जेव्हा राजस्थानात चक्क एका टरबूजावरून युद्ध पेटलं..!

কেউ কেউ আবার দাবি করেন এই যুদ্ধ সম্পর্কে ওই দুই রাজারা কোনো অবগত ছিলেন না। যুদ্ধ চলাকালীন বিকানেরের শাসক করণ সিং একটি অভিযানে ছিলেন আর অন্যদিকে নাগৌরের শাসক রাও অমর সিং মোগল সাম্রাজ্যে চাকরিতে নিযুক্ত ছিলেন। এই দুই রাজ্যের রাজা যখন যুদ্ধের কথা জানতে পারেন তখনই মুঘল সম্রাটকে এতে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানান। এই বিষয়টি মুঘল শাসকের কাছে পৌঁছানোর আগেই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।