হেডফোনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি জানলে হয়ত আপনি আর ব্যবহার করবেন না

লকডাউনে আমরা সম্পূর্ণ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছি। সকালে ওঠা থেকে রাত্রি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত নানান গ্যাজেটের সাথে যুক্ত। যার মধ্যে একটি হলো হেডফোন। কিন্তু পুরো সময়টা যদি কানে হেডফোন গুঁজে রাখেন এর ফলাফল হতে পারে মারাত্মক। 

এবার জেনে নেওয়া যাক দীর্ঘক্ষন হেডফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব গুলি কি কি:- 

শ্রবণ এর সমস্যা:

Woman Had "Sudden Deafness" After Just One Month of Prolonged Use of Earphones - Headphonesty

হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করলে সেই অডিও সরাসরি কানে গিয়ে পৌঁছায়। ৯০ ডেসিবেল তার বেশি মাত্রায় আওয়াজ সরাসরি কানে গেলে শ্রবণের সমস্যা হতে পারে। এমনকি চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারেন। একটানা দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহার না করে, কিছুটা সময় বিরতি দিন আর কখনোই হাই ভলিউমে গান শুনবেন না।

কানের ইনফেকশন:

ইয়ারফোন অন্য কারো সাথে ভাগাভাগি না করাই ভালো। এর মাধ্যমে সহজেই কান সংক্রমিত হতে পারে। অন্য কারো কাছ থেকে ব্যাকটেরিয়া সহজেই হেডফোন এর মাধ্যমে আপনার কানে আসতে পারে।

বাতাস প্রবেশে বাধা:

How to use your AirPods when you're offline | iMore

বর্তমানে হেডফোন কোম্পানিগুলি তাদের হেডফোনের অডিও এক্সপিরিয়েন্সের দিকে অতিরিক্ত নজর দিচ্ছে। যাতে সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হয়। আজ বেশিরভাগ হেডফোন এয়ার-টাইট অর্থাৎ বাতাস প্রবেশ করতে পারে না যার থেকে ঝুঁকি থেকেই যায়।

অল্প সময়ের জন্য বধির:

The 3 Most Popular Types of Headphones for Tinnitus - AudioCardio

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘ সময় ধরে হাই ভলিউমে গান শুনলে হেডফোন খোলার পর কিছুক্ষণ ভালোভাবে কানে শোনা যায় না। একটানা ১৫-২০ মিনিট ১০০ ডেসিবেল এর উচ্চমাত্রায় গান শুনলে বধির হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

কানে ব্যথা:

অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহারের ফলে অনেকেই কানে ব্যথা অনুভব করে থাকেন। মাঝে মধ্যে আবার কানের ভিতরে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ সৃষ্টি হয়।

মস্তিষ্কে কু-প্রভাব: 

Venta > apple 3 airpods > en stock

হেডফোন থেকে সৃষ্টি হওয়া ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। এই ক্ষেত্রে ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের সর্বদাই যোগাযোগ রয়েছে।