বাড়িতে আপনি নগদ কত টাকা রাখতে পারেন, জানুন তার লিমিট ও বিস্তারিত

আয়কর বিভাগের ইডি, সিবিআই এর মত বড় তদন্তকারী সংস্থা অতীতে বহু জায়গায় অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও এমনই ঘটনা ঘটেছে যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির ফ্লাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন প্রশ্ন হল বাড়িতে কত টাকা রাখার সীমা রয়েছে বা কতো বেশি হলে বাজেয়াপ্ত হবে। 

একজন সাধারণ মানুষ তার বাড়িতে কত টাকা রাখতে পারেন? আপনার বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা আছে? আপনি কি নিরাপদ এবং কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে ভয় পান না? এই প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।

Image

আয়কর দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি আপনার বাড়িতে যে কোনও পরিমাণ টাকা রাখতে পারেন, তবে তদন্তকারী সংস্থার হাতে যদি তা ধরা পড়ে, তাহলে এর উৎস আপনাকে বলতে হবে। আপনি যদি বৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে থাকেন এবং আপনার কাছে সম্পূর্ণ নথিপত্র থাকে তাহলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু টাকার উৎস জানাতে না পারলে সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।

যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত:

১) বাড়িতে রাখা অর্থের উৎস জানাতে ব্যর্থ হলে ১৩৭% পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

২) একটি আর্থিক বছরে কুড়ি লক্ষ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করলে জরিমানা হতে পারে।

৩) সিবিডিটি অনুসারে, একবারে ৫০ হাজার টাকার বেশি জমা বা তোলার পরে প্যান নম্বর প্রদান করা প্রয়োজন।

৪) যদি কোন ব্যক্তি বছরে ২০ লক্ষ টাকা নগদ জমা করেন, তবে তাকে প্যান বা আধারের বিবরণ দিতে হবে।

৫) প্যান এবং আধার কার্ডের বিবরণ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

৬) দু লাখ টাকার বেশি নগদে কেনাকাটা করা যাবে না। এর বেশি হলে প্যান বা আধার কার্ডের অনুলিপি দিতে হবে।

৭) ৩০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ সম্পদ বিক্রয়ের জন্য যেকোনও ব্যক্তি তদন্তকারী সংস্থার রাডারের আওতায় আসতে পারে।

৮) ক্রেডিট-ডেভিড কার্ডে অর্থ প্রদানের সময় যদি কোন ব্যক্তি একেবারে এক লাখ টাকার বেশি দেন তাহলে তদন্ত হতে পারে।

৯) কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির কাছে কুড়ি হাজারের বেশি নগদ ঋণ নিতে পারবে না।

১০) ব্যাঙ্ক থেকে ২ কোটি টাকার বেশি নগদ ঋণ তোলার উপর টিডিএস ধার্য করা হবে।