এইভাবে আর কতদিন চলবে বৃষ্টির সাথে ঝড়ঝঞ্ঝা? জানালো আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর

প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগের আছড়ে পড়ার মাত্র কয়েক ঘন্টায় পুরো দক্ষিণবঙ্গকে তছনছ করে দিয়েছে সুপার সাইক্লোন “আমফান”। গতির দিক থেকে আয়লাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়। কলকাতায় এই ঘূর্ণিঝড়টির প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৩৩ কিলোমিটার।

তবে আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে যে এখনই ঝড়-বৃষ্টি থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যে ঝড় বৃষ্টি চলবে। আজ রাত থেকে বৃষ্টির মাত্রা আরো তীব্র হবে উত্তরবঙ্গে।

Amphan cyclone: ఉవ్వెత్తున ఎగుస్తున్న అలల ...

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, বৃহস্পতিবার ২১শে মে তারিখ সকাল পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশের দিকে সরে গেলে অতি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। যে কারণে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে।

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, আগামী ২২ তারিখ শুক্রবার থেকে আকাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখা যেতে পারে। ঝড়ের তান্ডব লীলা কমে গেলেও বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প থাকবে তার ফলে পুরো বৃহস্পতিবারই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Not getting much help from Centre to tackle Covid-19 crisis, says ...

এইদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, আমফানের তান্ডবলীলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। “সাংঘাতিক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা আমরা করছি। নিজে নিজেই উপলব্ধি করলাম আমি দুই ২৪ পরগনা (উত্তর ও দক্ষিণ) জেলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সর্বত্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ সবকিছু – এখনো সব খবর পাওয়া যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন অব্দি যা খবর পাওয়া গেছে, ৭২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে গাছ ভেঙে পড়ে। পাঁচ লক্ষাধিক মানুষকে সরাতে পেরেছি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। পুরো স্তম্ভিত আমি, খুবই খারাপ লাগছে।”