ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন ও ঝড় থেমে গেলে আমাদের কি কি করা উচিত আর উচিত নয়

আজ সন্ধ্যায় আজ সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় আমপান দীঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়া উপদ্বীপের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগের প্রবেশ করবে। এই ঘূর্ণিঝড় এখনো স্থল ভাগে প্রবেশ না করলেও এর প্রভাব বেশ ভালই অনুভব করছি। আজ সকাল থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা একে এক্সট্রিমলি সিরিয়াস সাইক্লোন বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ঝড় চলাকালীন ও ঝড় থেমে গেলে আমাদের কি করা উচিত বা কি করা উচিত নয় তা জেনে নেওয়া যাক-

Cyclone Fani update: 8 lakh people being evacuated in Odisha ...

১) ঝড় শুরু হলে আমাদের সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে বাড়ির ইলেকট্রিকের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিতে হবে এবং গ্যাসের সমস্ত সংযোগ বন্ধ করে দিতে হবে।

২) এই সময় বাড়ির সমস্ত জানলা দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে।

৩) ঝড়ের জন্য গাছপালা ভেঙে গিয়ে বা বিদ্যুতের স্তম্ভ ভেঙে গিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এই কারণে ফোনে চার্জ আগে থেকেই দিয়ে রাখা ভালো।

৪) বাড়িতে কোন ধারালো জিনিস (যেমন ছুরি, কাঁচি, ব্লেড ইত্যাদি ) খোলা অবস্থায় রাখা উচিত নয়। এগুলো খোলা অবস্থায় থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫) বাড়িতে কোন পোষ্য থাকলে তাদের বাঁধন মুক্ত করে দিতে হবে। যাতে কোনো বিপদ বুঝলে ওরা নিরাপদ স্থানে যেতে পারে।

৬) ঘূর্ণিঝড়ের সময় কোন ব্যক্তি যদি বাড়ির বাইরে থেকে থাকেন তবে তারা যেন কোন মতেই খোলা স্থানে বা কোন গাছের নিচে দাঁড়িয়ে না থাকে এবং ঝড় শুরু হলে দ্রুত তাদের কোন আশ্রয় খুঁজে নিতে হবে।

৭) সব সময় ঝড়ের মধ্যে সতর্ক থাকতে হবে বিদ্যুতের স্তম্ভের ব্যাপারে। খেয়াল রাখবেন যে কোনো ক্ষতিগ্রস্ত পাকা বাড়ি বা কাঁচা বাড়িতে যেন আশ্রয় না নেওয়া হয়। বিপদে আঁচ পেলে সাথে সাথে কোন নিরাপদ আশ্রয় বা পাকা বাড়ি খুঁজে নিয়ে আশ্রয় নিতে হবে।

৮) এই ঝড়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও গেলে মাস্ক পড়ে যেতে হবে। এছাড়া সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত পরিষ্কার করতে যেন ভুলে না যান সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া এই দুর্যোগে যদি কোনো সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয় সেখানেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৯) যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বিভিন্ন অসুখ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে । তাই যথার্থ পরিমাণে পরিশুদ্ধ জল পান করতে হবে।