গত মাসের ৭ই অক্টোবর থেকে ইজরায়েল (Israel) ও হামাসের (Hamas) মধ্যে প্রবল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এক প্রান্তে থাকা ইজরায়েলের সেনারা গাজা উপত্যকায় স্থল যুদ্ধ করছে, অন্যদিকে হামাস সৈন্যরা গুলি চালাচ্ছে। এখন প্রশ্ন করতেই পারে যে, হামাসের মতো একটি টেররিস্ট সংগঠন ইজরায়েলের মত শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে এতদিন কিভাবে টিকে আছে?
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সরকার তার বার্ষিক বাজেটে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০০০ কোটি টাকারও বেশি। এখানে জানিয়ে রাখি, গাজা সরকার মানে হল হামাস। কারণ গাজা হামাসই শাসন করে শুধু।
তবে পুরো ৭০০ মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র হামাসের সৈন্যদের জন্য ব্যয় করা হয় না, এর পাশাপাশি কর্মীদের বেতন দেয়া হয় এবং এই অর্থ দিয়ে আরও অনেক কুকর্ম করা হয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল যে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ হামাসের মতো জঙ্গি সংগঠন কোথা থেকে পায়?
আসলে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামাস দাঁড়ালেই বাইরের দেশগুলি থেকে অনেক সাহায্য পেয়ে থাকে। মূলত এটাই তাদের আর্থিক সহায়তা লাভ করা। একটি বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে, কাতারের জনগণ প্রতি মাসে হামাসকে ৩০ মিলিয়নের বেশি ডলার দিয়ে সহায়তা করে থাকে।
এক মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দোহা গাজা উপত্যকায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও ইরান প্রতিবছর হামাসকে ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ইরানের দাতব্য সংস্থাগুলিও হামাসকে বিপুল আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে।
২০২১ সালে এক রাশিয়ান প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল যে, হামাসের জঙ্গিসংগঠন তার তহবিলের ৯৫ শতাংশ বেশি আর্থিক সহায়তা সারা বিশ্বের ফিলিস্তিনি সমর্থকদের কাছ থেকে পেয়ে থাকে।