পুরীর কথা বললেই প্রথমে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার কথা মনে আসে। সারা বছরই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তরা আসেন এই মন্দিরে। এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ১০৭৮ সালে তৈরি হয়। যাইহোক, এই মন্দির সম্পর্কিত কিছু অলৌকিক বিষয় রয়েছে যা সবাইকে অবাক করে:
১) জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ায়যে পতাকাটি রয়েছে তা সর্বদা বাতাসের বিপরীত দিকে ওড়ে।
২) মন্দিরের শীর্ষে যে সুদর্শন চক্র রয়েছে পুরী শহরের যে কোন প্রান্ত থেকে চক্রটির দিকে তাকালে মনে হবে চক্রটি আপনার দিকে রয়েছে।
৩) মন্দিরের প্রসাদ রান্না সময় মৃৎশিল্পের ৭টি হাঁড়ি পরপর রাখা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো সবার উপরে যে পাত্রটি থাকে সেটি আগে রান্না হয়। বাকিগুলি ওপর থেকে রান্না হতে হতে আসে।
৪) আপনি যদি মন্দিরের গেটে প্রবেশ করেন তাহলে পাশে থাকা সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের উত্তাল শুনতে পাবেন না। বেরিয়ে এলে তবেই সমুদ্রের ঢেউ শুনতে পাবেন।
৫) আমরা বেশিরভাগ মন্দিরের চূড়ায় পাখি বসতে দেখি। কিন্তু জগন্নাথ মন্দিরের ওপর কোনও পাখি বসে না। এমনকি কোন বিমানও মন্দিরের উপর দিয়ে উড়ে যায় না।
৬) জগন্নাথ মন্দিরে প্রতিদিনই ভক্তদের উদ্দেশ্যে যে প্রসাদ রান্না করা হয় তা কখনোই কম পড়ে না আর পূজা হওয়ার শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রসাদও শেষ হয়ে যায়।
৭) জগন্নাথ মন্দিরের শীর্ষে যে চূড়াটি রয়েছে তা দিনের আলোতে কখনোই ছায়া পড়ে না। এই ব্যাখ্যাটি বৈজ্ঞানিকরাও দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।
৮) সাধারণত দিনের বেলায় হাওয়া সমুদ্রের দিক থেকে তটের দিকে আসে আর সন্ধ্যের সময় তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া চলে। কিন্তু পুরীর ক্ষেত্রে তা ঠিক উল্টো। সকালে তটের দিক থেকে সমুদ্রের দিকে হাওয়া বয় আর সন্ধ্যার সময় সমুদ্রের দিকে থেকে তটের দিকে হাওয়া বয়।