বিশ্ব ক্রিকেটে এখন বেন স্টোকস অলরাউন্ডার হিসেবে মাতিয়ে দিচ্ছেন তবে এর আগেও একজন তার জন্মভূমি অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডের দেশের একজন অলরাউন্ডার ছিলেন ৯০ দশকে, তিনিও তখন সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। কোঁকড়া চুল মুখে সর্বদা হাসি এবং শক্তিশালী করার জন্য মহিলাদের মনেও তিনি অনেকটা জায়গা করে নিয়েছিলেন। তার সৌন্দর্যের ঝড় তুলেছিলেন ক্রিকেট মাঠে।
ইনি হলেন নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সাথে ফাইনালে তার অনবদ্য সেঞ্চুরিটা ভোলার নয়। ভারতকে জয়ের আশা থেকে শেষ পর্যন্ত ছিটকে যায় সৌরভ গাঙ্গুলীর হাত থেকে আইসিসি ট্রফি। সেবার নিউজিল্যান্ড প্রথম এবং একমাত্র ট্রফি হিসেবে আইসিসির কাপটি জয় লাভ করে। ওই ম্যাচে তিনি ১১৩ বলে ১০২ রানের একটি ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তাকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার কেন বলা হত।
তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের একদম শেষ লগ্নে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন ১৫৮ রানের এবং ওটাই টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান এছাড়াও তিনি শেষ টেস্ট ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামে মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছেন বল হাতে উইকেট পাননি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের তার রয়েছে মোট ৮২৭৩ রান এবং ৪২০ উইকেট সেই সাথে বহু সম্মান এবং ট্রফি অর্জন করেছেন। তবুও তার দীর্ঘ ১৭ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক কলঙ্কের দাগ লেগেছে। ২০০৮ সালে ভারতের আইপিএল ম্যাচে তিনি গড়াপেটায় অভিযুক্ত হন এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বিশাল অঙ্কের টাকা দিতে হয় তাকে।
এর পরবর্তীকালে ভিন্সেন্ট এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে তিনি নাকি গড়াপেটায় প্রস্তাব দিয়েছিলেন যেটা পরবর্তীকালে ফাঁস করে দেয়। এই অভিযোগে লুই ভিন্সেন্ট অভিযুক্ত থাকায় দোষী সাব্যস্ত হয় এবং তাকে সারাজীবন নির্বাচিত করে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। ২০১৩ সালে আবার তার নামে গড়াপেটায় অভিযোগ ওঠে সেই মামলা এখনো চলছে।
এরপর ধীরে ধীরে একের পর এক মামলা লড়তে লড়তে নিঃস্ব হয়ে যায় এই কিউই অলরাউন্ডার ক্রিস কেয়ার্নস। সবকিছুই হারিয়ে ফেলেন। এখন তিনি আর্থিক দিক দিয়ে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে কারণে তাকে বাস স্ট্যান্ড পরিষ্কারের কাজ করতে হচ্ছে। পারিশ্রমিকের সঠিক তথ্যটি পাওয়া যায়নি।