ইনি ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি, এক-দুটি নয়, ২০টি ডিগ্রী অর্জন করেছেন, জানেন তিনি কে

Most Educated Person in India: আপনি কি জানেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি কে? তিনি কয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন বা তার কতগুলো ডিগ্রি রয়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর যদি না জানেন তাহলে চিন্তা করার দরকার নেই। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। তিনি আইএএস হিসেবেও কাজ করেছেন। লেখাপড়ার জন্য রেকর্ড বুকেও তার নাম অন্তর্ভুক্ত।

এই প্রতিবেদনে শ্রীকান্ত জিচকারের (Shrikant Jichkar) কথা বলা হয়েছে, যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ তার একটি বা দুটি নয়, মোট ২০টি ডিগ্রী ছিল। তিনি ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে এই ডিগ্রি অর্জন করেছেন। 

শ্রীকান্ত জিচকার ১৯৫৪ সালে নাগপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তবে মাত্র ৫০ বছর বয়সে অর্থাৎ ২০০৪ সালে এই শহরেই তিনি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। হয়তো আরও কিছু সময় বেঁচে থাকলে তার রেকর্ডের পরিসংখ্যান অনেক বেশি হত।

শ্রীকান্ত জিচকার এমনই নিষ্ঠার সাথে পড়াশোনা করেছেন যে এটি থেকে অনুমান করা যায় যে ২৫ বছর বয়সেই তার নামে ১৪টি ডিগ্রি ছিল। লিমকা বুক অফ রেকর্ডএও তার নাম নথিভুক্ত রয়েছে। লিমকা বুক অফ রেকর্ডস অনুসারে, শ্রীকান্ত জিচকার এখনো পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পেয়েছেন। এর পাশাপাশি অনেক স্বর্ণপদকও অর্জন করেছেন তিনি।

শ্রীকান্ত জিচকারের ডিগ্রির তালিকাঃ 

  • মেডিকেল ডাক্তার, এমবিবিএস এবং এমডি
  • আইন, এলএলবি
  • আন্তর্জাতিক আইন, এলএলএম
  • ব্যবসায় প্রশাসনের মাস্টার, ডিবিএম এবং এমবিএ
  • সাংবাদিকতায় স্নাতক
  • এমএ জনপ্রশাসনে 
  • এমএ সমাজবিজ্ঞান
  • এমএ অর্থনীতি
  • এমএ সংস্কৃত
  • এমএ ইতিহাস
  • এমএ ইংরেজি সাহিত্য
  • এমএ দর্শন
  • এমএ রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • এমএ প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রত্নতত্ত্ব
  • এমএ সাইকোলজি

১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শ্রীকান্ত মোট ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি আইপিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরপরই পদত্যাগ করেন, যাতে তিনি আইএএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। তিনি এই পরীক্ষাতেও অনায়াসে পাশ করেন। শ্রীকান্ত তার কর্মজীবনে কয়েক মাস আইএএস হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু তারপর রাজনীতিতে যোগদানের পর চাকরি ছেড়ে দেন। 

১৯৮০ সালে তিনি দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। শ্রীকান্ত রাজ্যের মন্ত্রী, রাজ্যসভার সংসদ এবং মহারাষ্ট্র আইন পরিষদের সদস্য হিসেবেও কাজ করেন। তিনি সবসময় সৃজনশীল ছিলেন। তিনি ফটোগ্রাফি এবং থিয়েটারেও অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন।