এবছরে ১৩ই নভেম্বর ধনতেরাস। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এদিন কোনো না কোনো বস্তু কিনতে হয়। অনেকে মনে করেন যে, এই দিনে কোনো বস্তু কিনলে তা সহজে নষ্ট হয় না এবং এর পরিমান অনেক গুন বেড়ে যায়। এই কারণে ধনতেরাসের দিনে অনেকে সোনা, রূপো, জমি, গাড়ি, বাসন ইত্যাদি জিনিস কিনে থাকে। কিন্তু এসবের মধ্যে এদিনে ঝাঁটা কেনার রীতিও প্রচলিত রয়েছে।
মৎস্যপুরাণ অনুযায়ী ঝাঁটাকে লক্ষীদেবীর প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। আবার বৃহৎসংহিতা মতে, ঝাঁটা গৃহের খারাপ শক্তি ধ্বংস করে সুখ-শান্তি বৃদ্ধি করে। ঝাঁটার ব্যবহারে গৃহের দারিদ্রতাও দূর হয়ে যায়। এছাড়া প্রচলিত আছে যে ধনতেরাসের দিনে নতুন ঝাঁটা দিয়ে ঘর পরিষ্কার করলে ঋণমুক্তি সম্ভব হয়।
পুরাণে কথিত আছে, দ্রৌপদী অর্জুনের বিয়েতে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল তার এক উপায় হিসাবে ঝাঁটা দিয়ে ঘর পরিষ্কার করার কথা বলেছিলেন ভগবান কৃষ্ণ। আর এরপর সমস্ত ঘর ছাঁটা দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল এবং এরফলেই দ্রৌপদি অর্জুনের বিয়ে সম্ভব হয়েছিল। ঝাঁটার সাহায্য শক্তিলাভ ও ধনলাভ হওয়ার গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি সবাইকে।
বাড়িতে ঝাঁটা লুকিয়ে রাখা ও সঠিক স্থানে রাখার রীতিও প্রচলিত আছে। যেমন, ঝাঁটাকে কখনো সোজা দাঁড় করিয়ে রাখতে নেই। মনে করা হয় যে, ঝাঁটাকে সোজা দাঁড় করিয়ে রাখলে বাড়িতে শত্রুর দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা তৈরি হয়। তাই বাড়িতে যাতে দুষ্ট শক্তি ও শত্রুদের কারণে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য ঝাঁটাকে সব সময় শুইয়ে ও লুকিয়ে রাখার নিয়ম প্রচলিত আছে।