প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংকে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যুবির ক্যারিয়ার এবং তার জীবনে অনেক উত্থান-পতন হয়েছিল, তবে তিনি তার সাফল্য এবং আবেগ দিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ভক্তদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ভারতকে দুই বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল এবং ২০১১ সালের ওয়ার্ল্ড কাপে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
যুবরাজ সিংকে আমরা আজ একজন দুর্দান্ত ক্রিকেটার হিসাবে জানলেও, তার জীবনে ঝামেলার কোনও কমতি ছিল না। যুবরাজ সিংকে তার মা একা একাকীভাবে বড় করে তুলেছিলেন, অল্প বয়সে তার মায়ের সাথে বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জীবনের সবচাইতে তিনি বড় সমস্যায় পড়েন বিশ্বকাপের সময় ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়লে, কিন্তু এই মারণ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েও আবার দলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এমনকি এতকিছু সমস্যার পরেও যুবী জানতেন কীভাবে জীবনকে ইতিবাচক উপায়ে বাঁচতে হয়।
যুবরাজ সিং কিছুদিন আগে সেলিব্রিটি ম্যানেজার বান্টি সাজদেহের সাথে দেখা হয়েছিল। মুম্বই মিরর-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে যুবরাজ সিং এবং বান্টি সাজদেহের ক্লিপগুলি লস অ্যাঞ্জেলেসের। দুজনেই এখানে এসেছিলেন যুবরাজ সিংয়ের বায়োপিক নিয়ে কথা বলতে। সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে তবে ভক্তরা সম্ভবত যুবরাজ সিংয়ের জীবনের গল্পটি খুব শীঘ্রই বড় পর্দায় দেখতে পাবেন।
গত বছরে বিশ্বকাপে প্রাক্কালেই এই ভারতীয় অলরাউন্ডার ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। তার দীর্ঘ ২০ বছরের বর্ণময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বহু উত্থান-পতন রয়েছে। তিনি বারবার ছন্দে ফিরেছেন জাতীয় দলে। তার হাত ধরে ভারতীয় দল বহু স্মরণীয় ম্যাচ জিতেছে। আজও ভারতীয় দলে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কথা উঠলে এই পাঞ্জাব পুত্রের নাম মনে আসে।