গৌতম গম্ভীর বলেছেন, ধোনি অনেক রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন যদি….

২০০৪ সালে অভিষেকটা সুখকর হয়নি মহেন্দ্র সিং ধোনির। এরপর ২০০৫ সালে বিশাখাপত্তনমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। তার ১২৩ বলে ১৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে সাজানো ছিল ৪টি ছয় এবং ১৫টি চার। তার পর আর কখনো ফিরে তাকাতে হয়নি রাঁচীর যুবককে।

MS Dhoni would have been the most exciting cricketer had he not ...

কিন্তু এরপর টপ অর্ডারে বিশেষ সুযোগ পায়নি, মিডল অর্ডারে তাকে সন্তুষ্ট হতে হয়। তা সত্ত্বেও দুর্দান্ত ফিনিশার হয়ে উঠেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার পরিসংখ্যানের কথা বললে, ৩৫০ টি ওয়ানডেতে ৫০ এর উপরে গড় নিয়ে ১০৭৭৩ রান করেছেন, যার মধ্যে ১০ সেঞ্চুরি ও ৭৩ হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে এর মধ্যে। স্ট্রাইক রেট ৮৭.৫৬।

তবে এদিন গৌতম গম্ভীর দাবি করেছেন যে, মহেন্দ্র সিং ধোনির কাঁধে চাপ না পড়লে তিনি আরও অনেক বেশি সাফল্য পেতে। তিনি বলেছেন যে, “তিনি যদি টপ অর্ডারে ৩ নম্বরে ব্যাট করতেন এবং দলের হয়ে নেতৃত্ব না দিতেন, তাহলে ক্রিকেটবিশ্ব সম্ভবত একেবারে অন্য রকম এক খেলোয়াড়কে দেখতে পেত।

Gautam Gambhir MS Dhoni's advice cost him century in World Cup ...

তিনি আরো বলেন, এর চেয়েও অনেক বেশি রানও করতেন, অনেক রেকর্ড ভাঙত। তবে রেকর্ড তো ভাঙ্গা গড়ার খেলা, সেটা বাদ দিয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলে বিশ্বের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারত ও। পাটা উইকেটে এখনকার ওয়েস্ট ইন্ডিজ শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে সামনে পেলে অধিকাংশ রেকর্ডই ভেঙে ফেলত ও।”

প্রসঙ্গত, মহেন্দ্র সিং ধোনি তিনি তার ক্যারিয়ারে মোট ১৬ বার টপ অর্ডার ব্যাট হাতে নেমেছেন, সেখানে ৮২ গড় নিয়ে ৯৯৩ রান করেন। তবে অধিনায়ক হিসেবে ২০০টি ওডিআই ম্যাচে ৬৬৪১ করেছেন তিনি। তবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একমাত্র অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিংই বেশি রান করেছেন ধোনির থেকে।