মহেন্দ্র সিং ধোনি ও গৌতম গম্ভীর এর সম্পর্ক নিয়ে কারোর কাছে অজানা নয়। ধোনির বিরুদ্ধে কোন কিছুই বলতে বাকি রাখেনি গম্ভীর। মাঝেমধ্যে যে ধরনের অভিযোগ তোলেন তাতেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
এদিন ধোনির জন্মদিন উপলক্ষে যখন তার অনুরাগীরা জন্মদিন উদযাপন করছিলেন তখন গম্ভীর হঠাৎ তার ফেসবুক কভার ফটো পরিবর্তন করে বিশ্বকাপ ২০১১ ফাইনালের একটি ছবি পোস্ট করেন। এর ফলে তিনি প্রচুর সমালোচনার মুখোমুখি হন।
ধোনির বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি পূর্ণ না হওয়ার অভিযোগ:
এমএস ধোনির নেতৃত্বে ভারত ২০১১ সালে ২৮ বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। গম্ভীর ঐ ম্যাচে ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। এই শতরান মিস করার জন্য দায়ী করেন ধোনিকে।
একটি সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেন, ধোনির কথা তাকে বিভ্রান্ত করেছিল যার জন্য তিনি আউট হন। যখন তিনি ৯৭ রানে ব্যাট করছিলেন, ধোনি তাকে বলেন যে আর ৩ রান করলেই একটি শতরান পাবেন। তবে খারাপ শটে আউট হন গৌতম গম্ভীর। ধোনির পরামর্শই নাকি তাকে অন্যমনস্ক করে।
বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব ধোনির নয়:
ধোনির অধিনায়কত্বে ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল। সেই ম্যাচে গম্ভীর ৯৭ রান করেছিলেন আর এদিকে ধোনিও ৯১* রানে অপরাজিত থাকেন। তবে অনুরাগীরা এখনও মাহির ঐতিহাসিক ছক্কাটি মনে রেখেছেন কিন্তু গম্ভীর তার জয়সূচক ছক্কাটি খুব বেশি পছন্দ করেননি। তাই বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ধোনিকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ গম্ভীর।
একটি ওয়েবসাইট ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির জয়সূচক ছক্কাটি নিয়ে পোস্ট করে, যা দেখে গম্ভীর চুপ থাকতে পারেননি। তিনি লেখেন, বিশ্বকাপ শুধুমাত্র ধোনির শটের কারণে জেতা হয়নি, পুরো দলের হাত রয়েছে। সেই সময়ও গম্ভীরকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
ধোনির কথায় হতবাক গম্ভীর:
গম্ভীরের কখনও ধোনিকে পছন্দ ছিল না। ২০১২ সালে যখন তাকে বলা হয়েছিল যে তিনি ২০১৫ বিশ্বকাপের অংশ হবেন না, তখন এটি তাকে হতবাক করে। গম্ভীর একবার বলেছিলেন, “২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় আমাদের বলা হয়েছিল যে আমরা তিনজন (শেহবাগ, শচীন, গম্ভীর) একসাথে খেলতে পারি না কারণ ২০১৫ বিশ্বকাপ দল নিয়ে ভাবছি।”
এত কিছুর পরেও ধোনির জন্মদিনে গম্ভীর যা করলেন, সেটাও একটা বড় প্রমাণ যে তিনি তাকে খুব একটা পছন্দ করেন না। তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পরিবর্তে তিনি ফেসবুকের কভার ফটো আপডেট করলেন।