গৌতম গম্ভীরের এমন পাঁচটি রেকর্ড রয়েছে যা শুনলে অবাক হতে পারেন

ওপেনার গৌতম গম্ভীর ২০০৩ সালে ভারতের হয়ে ওয়ানডে তে অভিষেক করেছিলেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। গম্ভীরের অনেক বড় রেকর্ড রয়েছে যা তাকে দুর্দান্ত ক্রিকেটারের মর্যাদা দেয়। জেনে নেওয়া যাক গম্ভীর-সম্পর্কিত পাঁচটি অনবদ্য রেকর্ড- 

১) টানা ৫ টেস্টে ৫ টি সেঞ্চুরি:

The rise, fall and resurrection of Gautam Gambhir

গৌতম গম্ভীরের ৫ টেস্টে ৫ টি সেঞ্চুরি করার রেকর্ড রয়েছে। যথাক্রমে, ১৬৬ বনাম বাংলাদেশ, ১৩৭ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১৬৭ বনাম নিউজিল্যান্ড, ১১৪ বনাম শ্রীলঙ্কা, ১৬৭ বনাম শ্রীলঙ্কা। একটানা টেস্ট ম্যাচে সর্বাধিক ৬টি সেঞ্চুরি করেছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান।

২) শেবাগের সাথে ৪ হাজার রানের জুটি গড়েছেন:

Gautam Gambhir pens emotional tribute to Virender Sehwag on his ...

গৌতম গম্ভীর এবং বীরেন্দ্র শেবাগের জুটি টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছিল। উভয়ই ভারতের হয়ে মিলিতভাবে ৮৭টি ইনিংসে ৪৪১২ রান করেন। এই জুটিতে ১১ টি সেঞ্চুরি এবং ২৫ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে, যা টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা পঞ্চম ওপেনিং জুটি।

৩) ১০০% ম্যাচ জয়ী অধিনায়ক:

It was a professional effort: Gambhir | Cricbuzz.com

২০১০ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্রাম নিলে অধিনায়কের দায়িত্ব পান গৌতম গম্ভীর। নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে এবং ১টি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায়। ফলে তিনি সবগুলো ম্যাচে জয়লাভ করে ১০০% ম্যাচ জয়ী অধিনায়ক হন। এই সময় তিনি ৩২৯ রান করেন ১০৯.৬ গড় রান নিয়ে।

৪) ক্রিজে ৬৪৩ মিনিট ব্যয় করেন:

BCCI hasn't marketed Test cricket very well: Gautam Gambhir ...

রাহুল দ্রাবিড় ভারতের হয়ে টেস্ট খেলতে গিয়ে ক্রিজে দীর্ঘ সময় কাটাতেন। তবে গৌতম গম্ভীর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেন করতে নেমে ৪৩৬ বলে ১৩৭ রান করেন। এই সময় তিনি ক্রিজে ৬৪৩ মিনিট ব্যয় করে রেকর্ড করেছিলেন (ভারতীয় হিসেবে)।

৫) KKR কে দুবার চ্যাম্পিয়ন করে:

3 players KKR might use their Right to Match (RTM) card on

আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর হয়ে বেশ কয়েকজন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু গৌতম গম্ভীর হলেন তাদের মধ্যে একমাত্র অধিনায়ক যার নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স দুইবারই চ্যাম্পিয়ন হয় (২০১২ ও ২০১৪ সাল)।