বলিউডের তারকারা বিলাসবহুল জীবন কাটাতে অভ্যস্ত কিন্তু এমন কিছু মুহূর্ত তাদের সামনে হাজির হয়েছিল যে কারণে তাদের জেলের ঘানি পর্যন্ত টানতে হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ছোট-বড় অভিনেতারা হাজতবাস করেছেন। শুধুমাত্র সঞ্জয় দত্ত, সালমান খানই নন, অক্ষয় কুমার থেকে শাহরুখ আরো বড় বড় সেলিব্রেটিদেরও জেলে যেতে হয়েছিল।
শাইনি আহুজা: “গ্যাংস্টার”, “ভুলভুলাইয়া” একের পর এক হিট ছবি করা শাইনি আহুজার জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকারের দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি বাড়ির এক মহিলা কর্মচারীকে ধর্ষণ করেন। যার ফলে তার সাত বছর জেল হয়েছিল।
অক্ষয় কুমার: ২০০৯ সালের একটি অ্যাওয়ার্ড শো চলাকালীন হঠাতই অক্ষয় কুমারের স্ত্রী টুইংকেল খান্না তাকে তার প্যান্টের চেন খুলতে বলে। বিশাল দর্শকের মাঝে এমন অদ্ভুত আচরণের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল কিন্তু জামিনে তিনি মুক্তি পেয়ে যান।
জন আব্রাহাম: জন বরাবরই বাইক চালাতে ভালোবাসেন। একবার স্পিডে বাইক চালাতে গিয়ে এক সাইকেল চালককে ধাক্কা মারলে সে গুরুতর জখম। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান এবং দোষ স্বীকার করে নেন। এরফলে তার ১৫ দিনের জন্য জেল হয়।
ফারদিন খান: একসময় এই জনপ্রিয় অভিনেতার বাজার আকাশ ছোঁয়া ছিল। কিন্তু ২০০১ সালে আচমকা তার জীবনে নেমে আসে এক দুঃসময়। একজন ব্যবসায়ী কাছ থেকে কোকেন নিতে গিয়ে ধরা পড়ে যান। এরপর তাকে পাঁচ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল। এরপর তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান।
রাজপাল যাদব: বলিউডের বিখ্যাত কমেডিয়ান রাজপাল যাদবকেও জেলের ঘানি টানতে হয়েছিল। শোনা যায় তিনি একটি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন যার জন্য এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন এবং সময়মতো শোধ করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে মামলা চলে ও তিন মাস জেল খাটতে হয়েছিল।
সুরজ পাঞ্চোলি: জিয়া খানের আত্মহত্যার সুইসাইড নোটে জানা যায় তার সাথে সুরজ পাঞ্চোলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এরপরেই জিয়ার পরিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করলে জেলে যেতে হয়েছিল আদিত্য পুত্র সুরজ পাঞ্চোলিকে।
শাহরুখ খান: হ্যাঁ শাহরুখ খানকেও একবার জেলে যেতে হয়েছিল। যখন তার ক্যারিয়ার একদম শুরুর দিকে। এক ম্যাগাজিনের এডিটর শাহরুখ খানের নামে বিভ্রান্তিকর খবর রটালে ক্ষুব্ধ শাহরুখ সেই সম্পাদককে ফোন করে একটু বাজে ব্যবহার করে ফেলেন। এর পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। যদিও কিছু পরে তিনি ছাড়া পেয়ে যান।
সইফ আলী খান: ছোট নবাব সাইফ আলী খানও হাজতবাস করেন। জানা যায়, মুম্বাই তাজ হোটেলে করিনা কাপুর ও মালাইকাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে এক ব্যক্তিকে থাপ্পর মারলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই অপরাধে তাকে জেলে ঢুকতে হয়েছিল। যদিও তিনি সাথে সাথেই ছাড়া পেয়ে যান।