চ্যাম্পিয়নশিপ টেস্ট সিরিজে ভারতীয় দলে সবার ওপরে রয়েছে এবং শেষ কয়েকটি টেস্ট সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। ওপেনার, মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং অধিনায়ক ধারাবাহিকভাবে রান করছেন। দলে হনুমা বিহারির মতো অলরাউন্ডার রয়েছে। এছাড়াও দলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলার রয়েছে। এই অফব্রেক বোলার টেস্ট সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার পক্ষে ট্রাম্প কার্ড হিসাবে প্রমাণিত হতে পারেন।
এভাবে টিম ইন্ডিয়া যদি পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারে তাহলে আগামীদিনে ভারত আসা ইংল্যান্ড দলটি যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে পারে। তবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভারত টেস্ট সিরিজ জিততে পারে এর মূলে রয়েছে তিনটি কারণ।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ৪ টেস্ট ইনিংসে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২১৪ রান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বিরাট কোহলির গড় সর্বোচ্চ। এই মাঠে বিরাট কোহলির গড় ৭১ এরও বেশি।
এখনো পর্যন্ত, বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেটে ১৪১ ইনিংসে ৫৪.৯৮ এর দুর্দান্ত গড় দিয়ে ৭২০২ রান করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটে ২৫৪* রান বিরাট কোহলির সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। সবদিক দিয়ে বিচার করলে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি সিরিজ জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডে ভাল পারফরম্যান্স করতে হলে দলের অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। ব্যাটসম্যানদের পক্ষে নিউজিল্যান্ডের মাঠে খেলা খুব কঠিন তাই অনেক ভাল ব্যাটসম্যানও ব্যর্থ হন। তবে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকলে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভাল ব্যাট করতে পারে। সেই জন্য ভারতীয় দলে ১১ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৮ জনই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। যে দলে যত বেশি অভিজ্ঞ খেলোয়াড় থাকবে সেই দলের জয়ের শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটি টিম ইন্ডিয়ার সিরিজ জয়ের বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।
ভুবনেশ্বর কুমার এবং ইশান্ত শর্মা চোটের কারণে এই টেস্ট সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন, তবুও ভারতীয় ফাস্ট বোলিং খুবই শক্তিশালী। জসপ্রীত বুমরাহ, উমেশ যাদব এবং মোহাম্মদ শামি কয়েক মাস ধরে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। এই মুহূর্তে উমেশ যাদবের বলের গতি এবং লেন্থ অবিশ্বাস্য এর মতো এবং তিনি ভালোভাবে বুঝতে পারেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা। এই বোলারদের কারণেও নিউজিল্যান্ডকে ধরাশায়ী করা সহজ হবে ভারতীয় দলের।