হোয়াটসঅ্যাপ-এর (WhastApp) গোপনীয়তা নীতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিকল্প মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে লাফিয়ে কদর বাড়তে শুরু করেছে। এবার আপনি যদি হোয়াটসঅ্যাপ এর নতুন নীতিতে সম্মত হন না, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিলিট হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ-এর এই ঘোষণায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই মুহূর্তে ৪০ কোটি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন তাই কেউ কেউ আবার ভয় পাচ্ছেন, হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সমস্ত তথ্য পৌঁছে যেতে পারে ফেসবুকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক হোয়াটসঅ্যাপের বিকল্প হিসেবে কোন মেসেজিং অ্যাপগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে:-
১) টেলিগ্রাম (Telegram):
হোয়াটসঅ্যাপের মতোই টেলিগ্রাম কয়েক মাস ধরে জনপ্রিয় মেসেঞ্জার অ্যাপ হয়ে উঠেছে। ২০১৩ সালে এটি রাশিয়ার দুই ভাই নিকোলাই দুরভ এবং পাভেল দুরভ তৈরি করেছিলেন। টেলিগ্রামের সেরা বৈশিষ্ট্যটি হ’ল তার ‘সিক্রেট চ্যাট’ মোড। হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এটিও তাৎক্ষণিক বার্তা, ভয়েস ও ভিডিও কলসহ যেকোন প্রকারের নথি পাঠাতে পাঠানো যায়।
২) সিগন্যাল (Signal):
নির্মাতা সিগন্যাল ফাউন্ডেশন-এর অন্যতম অংশীদার ছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রাক্তন কর্মী ব্রায়েন অ্যাকটন। তাই রাতারাতি সিগন্যাল অ্যাপ ডাউনলোড করার হার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। এটি একটি ক্রস প্ল্যাটফর্ম এনক্রিপ্টেড মেসেজিং পরিষেবা। এতে ফাইল, ভয়েস নোট, ছবি এবং ভিডিও কলিং এর সুবিধা রয়েছে।
৩) ভাইবার (Viber):
জাপানিদের তৈরি ভাইবার অ্যাপটি আগামী দিনে হোয়াটসঅ্যাপের অন্যতম সেরা বিকল্প অ্যাপ হতে পারে। এটি একটি তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরক এবং ভয়েস ওভার আইপি (ভিওআইপি) স্মার্টফোনের জন্য অ্যাপ্লিকেশন যা মিডিয়া দ্বারা বিকশিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক বার্তা প্রেরক ছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ছবি, ভিডিও এবং অডিও মিডিয়া বার্তা বিনিময় করতে পারেন।
৪) কিক (Kik):
কানাডিয়ান সংস্থা দ্বারা ২০১৬ সালে নির্মিত কিক অ্যাপটিও ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করেছে। হোয়াটসঅ্যাপের নতুন গোপনীয়তা ও নীতি চালু হওয়ার পর বহু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এই অ্যাপটিকে বেছে নিচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০% যুবক-যুবতীরা এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
৫) স্কাইপ (Skype):
২০০৩ সালে তৈরি হওয়া স্কাইপ একটি ভিওআইপি সেবা এবং সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। এই সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে পরস্পরের সাথে ভয়েস, ভিডিও এবং তাৎক্ষণিক বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। যা এটি হোয়াটসঅ্যাপ এর অন্যতম সেরা বিকল্প অ্যাপ বলে মনে করা হচ্ছে।