আজ ২৬ শে জানুয়ারি, গোটা ভারতবর্ষে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবস। কিন্তু কেন এই দিবস পালিত হয়? ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করলে, একটি স্বাধীন দেশের সংবিধান থাকা জরুরী মনে হয়। তাই ১৯৫০ সালে সংবিধান তৈরি হওয়ার পর ২৬শে কার্যকর হওয়ায় এই দিনটিকে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
প্রজাতন্ত্র দিবস হোক বা স্বাধীনতা দিবস দেশের সব জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয় কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় পতাকা পড়ে থাকতে দেখা যায় যে দেশের পক্ষে খুবই অপমানজনক। তাই সরকার প্লাস্টিক পতাকা না কেনার জন্য সতর্ক করেন যেহেতু জাতীয় পতাকার অবমাননা করলে শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে। Prevention of Insults to National Honour Act, 1971 অনুযায়ী, (দেশের জাতীয় প্রতীকগুলিকে) না মানলে আপনি যে সকল শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
☞ ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জেনে রাখা উচিত:-
১) আইন অনুসারে কেবলমাত্র খাদিবস্ত্রেই জাতীয় পতাকা তৈরি করার নিয়ম রয়েছে। এমনকি প্রস্তুতি পদ্ধতিরও নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন রয়েছে।
২) জাতীয় পতাকার তিনটি আয়তকার অংশ রয়েছে। সবার উপরে গেরুয়া মাঝে সাদা এবং নিচে সবুজ রং। মধ্যেখানে নীল রঙের অশোক চক্র।
৩) জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হবে ৩:২।
৪) জাতীয় পতাকা কোন অবস্থাতেই জলে কিংবা মাটিতে যেন না পড়ে।
৫) জাতীয় পতাকা এমনভাবে রাখা উচিত যাতে ক্ষতি না হয়।
৬) জাতীয় পতাকা সম্পূর্ণ উত্তোলন করা উচিত এটি অর্ধেক উত্তোলন করা দেশের পক্ষে অপমানজনক।
৭) পরনের পোশাক যেন কোনভাবেই জাতীয় পতাকার ব্যবহার করা না হয়।
৮) দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত রুমাল, ন্যাপকিন কিংবা চাদরে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ।
৯) জাতীয় পতাকা দিয়ে কোনও বাড়ি কিংবা মূর্তি অথবা কোনো যানবাহনের আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত।
১০) জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় অবশ্যই নজর রাখতে হবে কাটাছেঁড়া কিংবা নোংরা অবস্থায় যেন না থাকে।
১১) সব সময় গেরুয়া রংটি জাতীয় পতাকার উপরের দিকেই থাকবে।
১২) জাতীয় পতাকার উপরে কোন কিছু লেখা যাবে না। তবে প্রজাতন্ত্র কিংবা স্বাধীনতা দিবসে উত্তোলনের সময় কেবল ফুল ছাড়া অন্য কিছু রাখা যাবে না।
☞ জাতীয় পতাকার ব্যবহার:
১) জাতীয় পতাকা ব্যবহারে একাধিক প্রথা রয়েছে। জাতীয় পতাকা সাধারণত উচিত এবং সূর্যাস্তের সময় নামিয়ে ফেলা উচিত।
২) জাতীয় পতাকা কখনোই উল্টো অবস্থায় প্রদর্শিত করা বা উত্তোলন করা দুটোই অনুচিত।
৩) আইন অনুসারে জাতীয় পতাকাটি ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যাবে না।
৪) জাতীয় পতাকা ক্ষতিগ্রস্থ হলে বা নোংরা হলে, এটিকে ফেলে দেওয়া বা অমর্যাদার সহিত নষ্ট করা যায় না।
৫) জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করলে (অগ্নিসংযোগ, ছিঁড়লে বা কোনওভাবে অপমান করলে) সেই ব্যক্তির তিন বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা দুই-ই হতে পারে।