ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে ‘সুপার সাইক্লোন’ ইয়াস। ওড়িশা সহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় করা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া তকতে-র ১০ দিনের মধ্যেই ভারতের উপকূলে আরো এক সাইক্লোন ‘ইয়াস’ মাথাচাড়া দিয়েছে।
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে উপকূলের মধ্যে শক্তি বৃদ্ধি করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। গত রবিবার সমস্ত সমুদ্র নির্ভর ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে এবং আজ সোমবার অর্থাৎ আজই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে ইয়াস।
খবর সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ হবে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তরের অভিমুখে। ঘূর্ণিঝড় এগোতে শুরু করলে অতি তীব্র গতিতে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে ইয়াস। এরপর উড়িষ্যা ও ২৬শে মে ঠিক সন্ধ্যার দিকে সাগরদ্বীপ ও পারাদ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়বে।
ওড়িশার একাধিক জেলায় চরম সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তেমনি পশ্চিমবঙ্গ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং সেই সাথে দাপট বাড়বে ইয়াসের।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে, বঙ্গোপসাগরের পূর্ব মধ্যভাগে নিম্নচাপটি রয়েছে। সেটি এখন পোর্ট ব্লেয়ারের ৬০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে এবং এই নিম্নচাপটি গভীর থেকে আরও গভীরতর হচ্ছে। ২৪ মে সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে ইয়াস। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অতি তীব্র রূপ ধারণ করবে এই সুপার সাইক্লোন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিন ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি জেলায় অতি ভারী ধরনের বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬ ও ২৭শে মে বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদে ভারী ধরনের বৃষ্টিপাত হবে। তবে উত্তরবঙ্গে তেমন কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না এই ‘ইয়াস’।
আরো পড়ুনঃ বারবার এই বিধ্বংসী “ঘূর্ণিঝড়” বঙ্গোপসাগরের বুকেই কেন জন্ম নেয়?
গত বছর মে মাসে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়েছিল সুপার সাইক্লোন আম্ফান। তবে আম্ফানের’-এর থেকেও কি ভয়ঙ্কর হতে চলেছে ‘ইয়াস’? আপাতত সেই উত্তরের সন্ধানে আছেন বঙ্গবাসীরা।