শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে একজন ক্রিকেটারের দক্ষতা কখনো বিচার করা যায় না। তবে কিছু ভারতীয় খেলোয়াড় ছিলেন যারা ক্রিকেটে পা রাখার আগে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। আজ তারা ক্রিকেটার না হলে কোন বড় বড় সংস্থায় চাকরি করতেন। এই প্রতিবেদনে তেমনি ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের কথা বলা হয়েছে, যাদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী রয়েছে। এবার দেখে নেওয়া যাক:
১) রবীচন্দ্রন অশ্বিন:
৩৫ বছর বয়সী ভারতীয় অফ স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অন্যতম সেরা বোলারদের মধ্যে একজন। তিনি ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৮২ টেস্ট, ১১১ ওয়ানডে ও ৫১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। একজন দুর্দান্ত স্পিনার হওয়ার পাশাপাশি তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়েও কোনও অংশে কম যান না। অশ্বিন চেন্নাইয়ের SSN কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে টেকনোলজিতে বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করেন।
২) শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাঘবন:
প্রাক্তন ভারতীয় অফ স্পিনার শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাঘবনেরও ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী রয়েছে। তিনি ভারতের হয়ে ১৮ বছর প্রতিনিধিত্ব করেছেন যেখানে ৫৭ টেস্ট ও ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। এছাড়াও ৩৪০টিও বেশি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। এই ভারতীয় অফ স্পিনার চেন্নাইয়ের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি আম্পায়ারিংও করেছেন।
৩) জাভাগাল শ্রীনাথ:
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার জাভাগাল শ্রীনাথ দেশের দ্রুততম ও সফল ফাস্ট বোলারদের মধ্যে একজন। তিনি ভারতের হয়ে ৬৭ টেস্ট ও ২২৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। জাভাগাল শ্রীনাথ তাঁর সময়ের অন্যতম সেরা দুর্ধর্ষ বোলার ছিলেন। তিনি মহীশুরের শ্রীজয়চামরাজেন্দ্র কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
৪) অনিল কুম্বলে:
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক অনিল কুম্বলে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার হিসেবে গণ্য হন। তিনি ভারতের হয়ে ১৯৯০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। এই সময় তিনি ১৩২ টেস্ট ও ২৭১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। অনেকেই জানেন না, এই কিংবদন্তি লেগ স্পিনার ব্যাঙ্গালোরের ন্যাশনাল স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
৫) সিএসএস প্রসন্ন:
সিএসএস প্রসন্ন (ইরাপল্লী অনন্তরাও শ্রীনিবাস প্রসন্ন) ছিলেন একজন প্রাক্তন ভারতীয় অফ স্পিনার, যিনি ১৯৬২ থেকে ১৯৭৮ সাল অবধি ৪৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। জাতীয় দলে প্রবেশ করার পর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি করার জন্য ৫ বছর ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী সম্পন্ন করার পর পুনরায় ক্রিকেটে ফিরে আসেন। তিনি মহীশুরের ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন।