কফি কেবল একটি পানীয় নয়, অনেক রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে

শীতের সেরা পানীয় হিসেবে কফি বিবেচিত হয়। এটি কেবল স্বাদই নয়, সতেজতা এবং শক্তিও সরবরাহ করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে যা লিভারকে সুস্থ রাখে, ফ্রি র‌্যাডিকেলদের বাড়তে বাধা দেয়, হার্ট-সমস্যাজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করে এবং মেজাজকে ভাল রাখে। কফি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও খুব উপকারী।

এবার দেখে নেওয়া যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা গুলি কি কি:-

১) কফিতে উপস্থিত ক্যাফিন ব্যথানাশকের মতো কাজ করে। মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার রোগীদের জন্য কফি অত্যন্ত উপকারী।

২) কফি স্থূলত্ব কমাতে সহায়তা করে। এর ক্যাফিন শরীর থেকে ফ্যাট কমিয়ে দেয়। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা কফি পান করা শুরু করেন।

৩) কফিতে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

৪) কাজের চাপ এবং ক্লান্তি কমাতে এক কাপ কফি পান করুন। একটি গবেষণা অনুসারে, ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন আপনার স্ট্যামিনা বাড়িয়ে তোলে।

৫) কফি হৃদরোগের জন্যও খুব উপকারী। গবেষণা অনুসারে যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।

৬) কফি ডায়াবেটিসের জন্যও খুব উপকারী। যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

৭) একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন কফি খাওয়া মহিলাদের স্তনের আকার বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিয়মিত দুই কাপ কফি খাওয়া মহিলাদের স্তনের আকার দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করে।

৮) প্রতিদিন তিন কাপ কফি পান করলে ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

৯) ত্বক এক্সফোলিয়েট করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি মৃত ত্বক দূর করে। কফির গুঁড়োতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলে মৃত কোষগুলি পরিষ্কার হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

১০) টেক্সাস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে সকল পুরুষ দিনে ২ কাপ কফি খান তাঁরা মিলনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি তৃপ্তি পান।

অতিরিক্ত কফি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিনা এই বিষয়ে বহুদিন ধরেই তর্ক-বিতর্ক চলে আসছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। অনেকের মতে, দৈনিক চার কাপের বেশি কফি পান করা বিপজ্জনক। কারণ এতে শারীরিক অস্থিরতা, কাঁপুনি, বিরক্তিভাব, অনিদ্রা এবং পেটব্যথা হতে পারে।