ভারতের কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশন ব্যান করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপটি হলো টিকটক। আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা প্লে স্টোরে। খুব কম সময়ে এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটি ভারতীয়দের মনে জায়গা করে নিয়েছিল।
এমনকি কয়েকজন টলিউড সেলিব্রিটিও টিকটক এর প্রেমে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। নুসরতের আগুন ঝরানো নাচে লাফিয়ে লাফিয়ে টিকটকের অনুরাগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪ লক্ষ। এদিন তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন টিকটক নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে।
নুসরত বলেছেন যে, ‘‘আমার কাছে আমার ফ্যানেদের সাথে যুক্ত হওয়ার অন্যতম একটা মাধ্যম টিকটিক। যদি দেশের স্বার্থে এই অ্যাপ ব্যান করা হয় সে ক্ষেত্রে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’’
তবে তিনি কিছু প্রশ্ন তুলে বলেছেন যে, “ইতিমধ্যেই যে চীনা সংস্থাগুলি ভারতে বিনিয়োগ করেছে সেক্ষেত্রে তাদের কি করা হবে? প্রধানমন্ত্রী চীন সফর থেকে আমরা কি পেয়েছি? এছাড়াও বলেছেন, যে সব মানুষগুলো চীনা পণ্য আমদানি রপ্তানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কি হবে, এই সংকটময় পরিস্থিতিতে তার কি কাজ হারাবেন?
এরপর আর এক সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও টিকটক নিষিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যদিও তিনি নুসরত জাহান এর মত অতটা সক্রিয় নন টিকটকে। তিনি বলেছেন, “আমি একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি। মাঝেমধ্যেও টিকটকে ভিডিও পোস্ট করতাম। তবে দেশের জন্য যদি কাল আরো চারটি অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায় তাতে কোন অসুবিধা নেই।
মিমি আরো জানিয়েছেন, যে অ্যাপ মানব সমাজের ক্ষতি করছে তা বন্ধ হওয়া উচিত। তবে তিনিও নুসরত জাহান এর মতই তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। চীনা পণ্য ভারতে বন্ধ হলে তার পরিবর্তে আদৌ কি বড় বড় কারখানা গড়ে উঠবে? যে সকল ব্যক্তিরা চীনা দ্রব্য কেনাবেচা করে পেট চালান, তাদের জন্য সরকার কি ভেবেছে?
তবে জানা গিয়েছে, তাদের অনুরাগীদের মন খারাপ দূর করার জন্য এখন ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামে বেশি সক্রিয় হবেন এই দুই অভিনেত্রী।