চাণক্য শুধুমাত্র একজন মহান শিক্ষকই ছিলেন না; ছিলেন একজন মহান বিদ্বানও। সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও কূটনীতি সম্পর্কে দারুন জ্ঞান ছিল চাণক্যের। চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে, কোনো নতুন কাজ শুরু করার আগে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সম্পর্কে যত্ন নেওয়া উচিত।
তাঁর মতে, কোনো ব্যক্তি তার আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য থেকে নতুন কোনো কাজ করতে উদ্যত হয়। তাই কোনো নতুন কাজ বা দায়িত্ব গ্রহণ করলে তা খুবই গুরুত্ব সহকারে পালন করতে হবে।
আচার্য চাণক্যের নীতি গুলি একজন ব্যক্তিকে সফল ও ধার্মিক জীবনযাপনে সাহায্য করে। চাণক্য এমন এক মহান ব্যক্তি যার বচন আজ অব্দি যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক ও মূল্যবান। চাণক্যের মতে এমন কিছু অভ্যাস আছে যা কারোর মধ্যে থাকলে তাকে দারিদ্রতার দিকে নিয়ে যায়। তাই এই অভ্যাসগুলি থেকে সর্বদা দূরে থাকতে হবে।
চাণক্য বলেছেন যে, যিনি মুখ দাঁত পরিষ্কার করেন না তার উপর লক্ষীদেবী অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। ফলে সেই ব্যক্তি দারিদ্রতার শিকার হন।
যারা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে না তাদের কাছে মা লক্ষ্মী বসবাস করে না। যাদের কথার দ্বারা অন্যের মনকে সর্বদা আঘাত করে থাকে এমন ব্যক্তিদের উপর মা লক্ষ্মী অত্যন্ত রুষ্ট হন। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অত্যাধিক বেশি খাবার খাওয়া মানুষেরা দ্রুত দারিদ্র হয়ে যায়। আর এই ধরনের ব্যক্তিরা কখনোই সুস্থ থাকে না।
যেসব ব্যক্তি ভোর থেকে সন্ধ্যা অব্দি ঘুমাই সেসব ব্যক্তি কখনোই মা লক্ষী অনুগ্রহ পান না। ঠিক একইভাবে যারা সূর্য ওঠার পরেও ঘুমাতে থাকে তাদের কাছ থেকে মা লক্ষ্মী চলে যায়।
এছাড়া যারা কারোর ক্ষতি বা প্রতারণার দ্বারা অর্থ উপার্জন করে তাদের কাছেও মা লক্ষ্মী বসবাস করে না। ফলে তাদের অর্থ দীর্ঘস্থায়ী হয়না এবং খুব দ্রুতই তারা ধ্বংস হয়ে যায়।