দীপাবলির রাতে প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন জানেন? জানুন এক পৌরাণিক ঘটনা

আশ্বিন কার্তিক মাস হল উৎসবের মাস। কিছুদিন আগে ধুমধাম করে দুর্গা উৎসবে মেতেছি। আর তারপরেই ছিল লক্ষ্মীপুজো। এখন দুই পুজোই শেষ। তবুও মন থেকে পুজোর আমেজ এখনো কাটেনি। কারণ সামনেই আছে দীপাবলি। আর দুর্গাপুজো লক্ষ্মীপুজো সেরকমভাবে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে পালন করা না হলেও দীপাবলি কিন্তু গোটা ভারতবর্ষেই পালন করা হয়।

আর এই দীপাবলি কেন পালন করা হয়, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলি যে এই দীপাবলি নিয়ে প্রচলিত রয়েছে অনেক গল্পগাঁথা।

Death some day is a certainty - Sarvamoolapatrika

এর মধ্যে সবথেকে প্রচলিত ধারণা হলো যে, দীপাবলীর দিনে রাবণ বধ করে শ্রীরামচন্দ্র, সীতা, ও লক্ষণ অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। আর সেই রাতে সমস্ত অযোধ্যা নগরী তাদের স্বাগত জানাতে দ্বীপ জ্বেলে ছিলেন। আর সেদিন থেকেই এই দীপাবলি উৎসব এর জন্ম হয়েছে।

আবার মহাভারতে কথিত আছে যে, সেই সময় ভূদেবী ও বরাহর পুত্র নরকাসুর ছিলেন খুব শক্তিশালী। এই নরকাসুর তার শক্তি দ্বারা স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে সবার ওপর খুব অত্যাচার শুরু করেছিলো। আর সেই অত্যাচার থেকে সবাইকে বাঁচাতে শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করেছিল এবং তার প্রাসাদে বন্দি অবস্থায় থাকা ১৬ হাজার নারীদের উদ্ধার করে তাদের বিয়ে করেছিলো।

पांडव सशरीर स्वर्ग जाना चाहते थे, लेकिन रास्ते में द्रौपदी, अर्जुन, भीम आदि की मृत्यु हो गई, ऐसा क्यों हुआ? | The Pandavas wanted to go to heaven, but Draupadi, Arjuna ...

 

কিন্তু নরকাসুর তার মৃত্যুর আগে কৃষ্ণের কাছে বর চেয়ে ছিলেন। আর সেই বর ছিল যে, তার মৃত্যুর দিনটি যেন ধুমধাম করে পালন করা হয়। আর সেই দিনটি ছিল এই দীপাবলীর দিন। এছাড়া জৈনধর্ম অনুযায়ী, মহাবীর নির্বাণ লাভ করেছিলেন এই দীপাবলিতে।

মহাভারত অনুযায়ী, পাণ্ডবেরা ১২ বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসের পর হস্তিনাপুরে ফিরে এসেছিলো এই দীপাবলিতেই। আর সেই কারণে এই দিনটিতে গোটা হস্তিনাপুরকে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। তাই দীপাবলীর দিনে সমগ্র ভারতে ধুমধাম করে উৎসব পালন করা হয়।