Offbeat
চাণক্য নীতি: এই পাঁচ ধরনের লোকের কখনোই অর্থের মুখ দেখে না
মহাজ্ঞানী চাণক্য মানুষের জীবনের প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যায়। তিনি মানুষের জীবনকে খুবই কাছে থেকে দেখেছিলেন এবং আজও বহু মানুষ তার দেখানো পথ অনুসরণ করেন।
চাণক্য বলেছেন যে, জীবনের আনন্দকে পরিপূর্ণ করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। আবার এমন ব্যক্তি রয়েছে যারা প্রচুর টাকা রোজগার করা সত্ত্বেও কোনভাবেই সঞ্চয় করতে পারেন না অর্থাৎ তাদের ঘরের লক্ষ্মী বিরাজ করে না। তাদের কয়েকটি কু-অভ্যাস এর ফলে।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ৫ ধরনের ব্যক্তির সম্পর্কে চাণক্য এ কথা বলেছেন-
১) চাণক্য তার নীতিশাস্ত্রে বলেছেন, যে ব্যক্তির মুখে কখনোই মিষ্টতা নেই, অর্থাৎ সব সময় গাম্ভীর্য ও তিক্ততার সাথে কথা বলে তার কাছে কখনোই অর্থ সঞ্চয় হয় না। চাণক্যের মতানুসারে, সব সময় মিষ্টতার সাথে নিয়ে কথা বলা উচিত তবেই লক্ষীদেবীর অনুগ্রহ লাভ করা যায়।
২) বেঁচে থাকতে আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন। কিন্তু যে সকল ব্যক্তি প্রয়োজন ছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খায় তারাই বেশি অর্থের সমস্যায় পড়েন। চাণক্যের মতে, অতিরিক্ত খাওয়া ব্যাক্তিদের লক্ষী একেবারেই পছন্দ করেন না। সুতরাং মানুষের যা প্রয়োজন তাই খাওয়া উচিত।
৩) চাণক্য নীতি অনুসারে, কোন ব্যক্তি যদি নোংরা হয় তবে তার থেকে লক্ষ্মীও দূরে থাকেন। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি যদি অপরিচ্ছন্ন হয়ে জীবনযাপন করেন তবে তার কাছে কখনোই অর্থ থাকে না। এই ক্ষেত্রে গরিব মানুষও যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে থাকেন তার কাছেও লক্ষী বিরাজ করে।
৪) চাণক্য নীতি অনুসারে, রাতের সময়টিকে ঘুমের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। চাণক্যের মতে, দিন শেষ হওয়ার পরে, অর্থাৎ সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যে ঘুমন্ত ব্যক্তির কাছে কোন অর্থ থাকে না অর্থাৎ এই ধরনের ব্যক্তির কাছে লক্ষ্মী দেবী কখনোই সহায় হন না।
৫) চাণক্য নীতিতে, অর্থ সঞ্চয় করতে না পারা ব্যক্তিদের তালিকায় নোংরা দাঁতযুক্ত ব্যক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। চাণক্যের মতে, লক্ষ্মী নোংরা দাঁতযুক্ত লোকদের কাছেও সহায় হন না।
∆ চাণক্যের মতে, অর্থের দেবী লক্ষ্মীর সহায় না থাকলে আপনি কখনোই অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন না। সারা জীবন আপনাকে দারিদ্র্যের নিচে জীবন যাপন করতে হবে। একমাত্র লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় আপনি ধনী হয়ে উঠতে পারবেন।
