অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বাঁহাতি লেগ স্পিনার ব্র্যাড হগ বেছে নিয়েছেন আইপিএলের সর্বকালের সেরা একাদশকে। লকডাউনে গৃহবন্দী হয়ে তিনিও অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতোই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো তার দলে বিরাট কোহলিকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছেন, আইপিএলের দুই সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রোহিত শর্মা থাকা সত্ত্বেও।
ব্র্যাড হগ রাজস্থান রয়েলস এর হয়ে দুটি মরশুম এছাড়াও কোলকাতা নাইট রাইডারসের হয়েও তিনি খেলেছেন। তার এই দলে চার বিদেশি ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যারা হলেন – এবি ডি ভিলিয়ার্স, ডেভিড ওয়ার্নার, সুনীল নারিন এবং রশিদ খান।
৪৯ বছর বয়সী ব্র্যাড হগ আইপিএল একাদশে রোহিত এবং ডেভিড ওয়ার্নারকে ওপেনার ব্যাটসম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। ওয়ার্নার (৪৭০৬ রান) ও রোহিতের (৪৮৯৮ রান) এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে। এই তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি, যিনি আইপিএলে সর্বাধিক (৫৪১২ রান) রান সংগ্রহ করেছেন।
৪ নম্বরে ঋষভ পান্থ, যিনি চারটি আইপিএল মরশুমে ৫৪টি ম্যাচ খেলে ১৭৩৬ রান করেছেন। এরপর পাঁচ নম্বরে রয়েছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের এবি ডি ভিলিয়ার্স, যিনি ১৫৪টি ম্যাচে ১৫১+ স্ট্রাইক রেট নিয়ে করেছেন ৪৩৯৫ রান। ছয় নম্বরে মহেন্দ্র সিং ধোনি রয়েছেন, যাকে উইকেটকিপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বোলারদের মধ্যে তিনি সুনীল নারিন এবং রশিদ খানকে তার ফ্রন্টলাইন স্পিনার হিসাবে বেছে নেন। এমনকি তারা ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত অবদান রাখতে পারেন। আর এদিকে পেস অ্যাটাকের ক্ষেত্রে তার রাজস্থান রয়েলসের সতীর্থ প্রাক্তন পেসার মুনাফ প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার এবং জসপ্রিত বুমরাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তবে এই তালিকায় মুনাফের নাম কিছুটা অবাক করার মতো। তিনি আইপিএলের ৬৩টি ম্যাচে ৭৪ উইকেট নিয়েছেন। তবে ২০১২ সালের পরে তেমনভাবে আর একাদশে জায়গা পাননি।
ব্র্যাড হগ এর সর্বকালের সেরা একাদশ:
ডেভিড ওয়ার্নার, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), ঋষভ পান্থ, এবি ডি ভিলিয়ার্স, এমএস ধোনি (উইকেট-রক্ষক), সুনীল নারিন, রশিদ খান, মুনাফ প্যাটেল, ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ।