বাবা-মা দুজনেই সুপারস্টার, মেয়ে হয়ে গেল সুপারফ্লপ, অভিনয়ে ব্যর্থ হয়ে দেশ ছাড়লেন

এই অভিনেত্রী সিনেমায় ফ্লপ হয়ে দেশ ছাড়েন

সিনেমা পরিবারের ছেলেমেয়েরা সাধারণত তাদের ক্যারিয়ার হিসেবে সিনেমাকেই বেছে নেন। আবার কেউ কেউ রয়েছেন যারা অন্যদিকে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করেন। বলিউডের এমনই এক অভিনেত্রী ছিলেন, যার পিতা-মাতা দুজনেই সফল তারকা হলেও তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং বলিউড থেকে অকালেই হারিয়ে গেছেন।

২০০০ সালে গোবিন্দার কমেডি ছবি ‘জিস দেশ মে গঙ্গা রাহতা হ্যায়’ বক্স অফিসে হিট হতে পারেনি, তবুও ছবির গল্প এবং কমেডি দর্শকরা পছন্দ করেছিলেন। এই ছবিতে গোবিন্দার সঙ্গে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে ও রিঙ্কি খান্না (Rinke Khanna)। এটি ছিল রিঙ্কি খান্নার দ্বিতীয় ছবি, যেখান থেকে তিনি লাইমলাইটে আসেন।

রিঙ্কি খান্না বলিউড সুপারস্টার রাজেশ খান্না (Rajesh Khanna) এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার (Dimple Kapadia) মেয়ে। তিনি টুইঙ্কেল খান্নার (Twinkle Khanna) বোন এবং অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) শ্যালিকাও বটে। রাজেশ খান্না- ডিম্পল কাপাডিয়া বলিউডকে অনেক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছেন। দু’জনেই ছিলেন তাদের সময়ের বড় শিল্পী। তবে তাদের সন্তান হয়ে তেমন জায়গা গড়ে তুলতে পারেননি রিঙ্কি।

 

Image

টুইঙ্কেল খান্না তার ছোট বোনের চেয়ে বেশি সিনেমা করলেও, একসময় তিনিও নিজেকে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরিয়ে নেন। যাইহোক, এখন তিনি তার চ্যাট শো এর জন্য বেশ চর্চায় থাকেন। রিঙ্কি ১৯৯৯ সালে ‘পেয়ার মে কাভি কাভি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন। এই ছবিটি বক্স অফিসে ফ্লপ প্রমাণিত হয়।

যদিও ওই ছবির পর গোবিন্দার সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের উন্নতি করতে চেয়েছিলেন রিঙ্কি। তার এই পরিকল্পনায় স্বল্প সফলতা পেলেও, বলিউডে রিঙ্কির ক্যারিয়ার মাত্র ৪ বছর স্থায়ী হয়েছিল। এই ৪ বছরে মোট ৯টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। আর ২০০৪ সালে ‘চামেলি’র মতো ছবি দিয়ে বলিউডকে চিরতরে বিদায় জানান।

Image

২০০৩ সালে ফ্লপ ক্যারিয়ারকে পেছনে ফেলে সেই সময় তো স্বনামধন্য ব্যবসায়ী সমীর শরণের সাথে লন্ডনে চলে যান। যদিও মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী রিঙ্কি এখন লন্ডনেই থাকেন। ৪৫ বছর বয়সী রিঙ্কির নওমিকা নামে একটি মেয়েও রয়েছে, যাকে প্রায়শই ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে সময় কাটাতে দেখা যায়।