বড় বড় হোটেল গুলিতে ১৩ তল বা ১৩ নম্বর রুম থাকে না কেন, কারণ জানলে চমকে উঠবেন

যে কারণে বড় হোটেল গুলিতে ১৩ নম্বর রুম থাকে না

ভ্রমণের সময় কোনও হোটেলে ঘর নিলে খেয়াল করে দেখবেন সেখানে ১৩ নম্বর ঘরের কোনও উল্লেখ নেই। অনেক হোটেলের তো আবার ১৩ নম্বর তলও থাকে না। এছাড়াও কেউ কেউ হাসপাতালে ১৩ নম্বর বেডেও ভর্তি হতে চান না। কিন্তু এই ১৩ নম্বরের পিছনে কোন রহস্য লুকিয়ে আছে, যেটা আমরা এখনও জানি না।

কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যীশু খ্রীষ্ট একবার তার শিষ্যদের সাথে খাবার খেতে বসেছিলেন। সেই সময় যে ব্যক্তি যীশুর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল সে ১৩ নম্বর চেয়ারে বসেছিল। এই ঘটনার পর আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলিতে ১৩ নম্বরটি অশুভ বলে বিবেচিত হয়েছিল।

Image

আমরা বলি পশ্চিমের দেশগুলি নাকি আমাদের থেকেও উন্নত। তাদের যুক্তিবাদী চিন্তাধারা, বিজ্ঞান মনস্কতা প্রাচ্য দেশগুলির তুলনায় অনেক দৃঢ়। কিন্তু আদতে তা নয়। পশ্চিম বিশ্বের লোকেরাও যথেষ্ট কুসংস্কারাচ্ছন্ন হন। তাদের মতে, ১৩ নম্বরটি অত্যন্ত অশুভ। অনেকেরই বিশ্বাস এটি একটি ভৌতিক সংখ্যা।

Image

এমন অনেক ব্যক্তি ১৩ নম্বরটি দেখে ভয় পান। তাঁদের উদ্বেগ বাড়তে থাকে, ঘাম হয়, স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে এমনও বলে থাকেন যে এই সংখ্যা দেখে তাঁদের হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। এই কারণেই হোটেল মালিকরা তাঁদের হোটেল থেকে ১৩ নম্বরটি সরিয়ে দেন। অনেকে আবার বলেন, যাঁরা ১৩ নম্বর রুম বুক করেন, তাঁদের নাকি সমস্ত কাজ পণ্ড হয়ে যায়।

এমনকি আমাদের দেশের চণ্ডীগড়ের ১৩ নম্বর সেক্টর নেই। কথিত আছে যে শহরের মানচিত্র প্রস্তুতকারী স্থপতিও ১৩ নম্বরটিকে শুভ বলে মনে করেননি। আর সেজন্য সেক্টর ১২ এর পরেই রয়েছে ১৪ নম্বর সেক্টর। যদিও বিজ্ঞানীরা এর পিছনে তেমন কোন রহস্য খুঁজে পাননি, কিন্তু এই ভয়কে সংখ্যার প্রতি ভীতি বলে উল্লেখ করেছেন। যাকে বলা হয় ট্রিস্কাইডেকাফোবিয়া।