শুটিং ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে! অক্ষয়ের নায়িকার প্রেমকাহিনি রোমান্টিক গল্পেকেও হার মানাবে

অক্ষয় কুমার তার ক্যারিয়ারে বলিউডের প্রায় সব নামিদামি নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু তিনি এমন একজন অভিনেত্রী ছিলেন যার প্রেম কাহিনী বলিউডের কোন রোমান্টিক সিনেমাকেও হার মানাবে। অক্ষয় কুমারের প্রথম ছবি ‘সৌগন্ধ’-তে অভিনেতার বিপরীতে দেখা যায় শান্তিপ্রিয়া। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে সবেমাত্র হিন্দি ফিল্মজগতে পা দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।

শান্তিপ্রিয়ার সম্পর্কে বলতে গেলে তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভানুপ্রিয়ার বোন হন। সেই সময় তাঁর আলাপ হয় সিদ্ধার্থ রায়ের সঙ্গে। সিদ্ধার্থ ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেন এবং ৮০-র দশকে একের পর এক হিন্দি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বলিউড একটি নামী অ্যাওয়ার্ড শো-এর আয়োজন করেছিল।  

Image

তারই পরিকল্পনা অনুসারে, সেই সময়ের বলিউডে পা রাখা নতুন তারকারা বলিউডের সুপারহিট গানের তালে
মঞ্চে পারফর্ম করতেন। পারফরম্যান্সের খাতিরে শান্তিপ্রিয়ার সঙ্গে সিদ্ধার্থের জুটি তৈরি করা হয়। সিদ্ধার্থের সম্পর্কে তখন কিছুই জানতেন না শান্তি। সম্প্রতি শান্তিপ্রিয়া তাঁর সঙ্গে সিদ্ধার্থের প্রেমকাহিনি নিয়ে মুখ খোলেন।

Image

অভিনেত্রী জানান ‘অনুষ্ঠানের সময় তাঁদের বন্ধুত্ব হয়’। তার পর ‘অন্ধা ইনতেকাম’-এর মতো গুটিকতক ছবিতে সিদ্ধার্থের সঙ্গে কাজ করেন শান্তিপ্রিয়া। শুটিংয়ের সময়ই শান্তিপ্রিয়ার সঙ্গে সিদ্ধার্থের বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে এবং আস্তে আস্তে তা প্রেমের রূপ নেয়। সিদ্ধার্থের পরিবারের কেউ কেউ শান্তিপ্রিয়াকে পছন্দ করলেও, শান্তিপ্রিয়ার মা আর দাদা ছিল এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে। 

Image

পরিবারের সদস্যেরা রাজি হবেন না বলে শুটিং সেটের মাঝেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে পালিয়ে যান শান্তিপ্রিয়া। এমনটাই সাক্ষাৎকারে জানান অভিনেত্রী। ১৯৯২ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দু’জনে। এমনটাই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্ত বিয়ের ১২ বছর পর অভিনেত্রীর জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। ২০০৪ সালে হৃদ‌্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাযান সিদ্ধার্থ। তার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে একা হাতেই সংসার সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী।।