১৯৬৭ সালে ৯ই সেপ্টেম্বর পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমার, তার বয়স হিসাব করলে ৫৩ হবে। যেহেতু পঞ্চাশোর্ধ আজকালকার ব্যক্তিদের মধ্যে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পুরোপুরি বোঝা যায় কিন্তু অক্ষয় কুমারের শরীরে এতোটুকু কোথাও ভাটা পড়েনি। রয়েছেন চিরকুমারের মত সুন্দর এবং সেইসাথে ধরে রেখেছেন নিজের ফিটনেস।
এখন সকলের মনে প্রশ্ন হল অক্ষয় কুমার এখনো পর্যন্ত নিজের ফিটনেস কিভাবে ধরে রেখেছেন এই রহস্য কি? বেশিভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা স্টেরয়েডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে ফিটনেস রাখার জন্য কিন্তু অক্ষয় কুমার এই দিক দিয়ে একেবারে ব্যাতিক্রম। তা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে নিজের ফিটনেস ধরে রেখেছেন, তিনি তা জানা গেছে।
ফিটনেস বজায় রাখতে অক্ষয় কুমার সকল অভিনেতাদের থেকে ডায়েট চার্টে আলাদা রেখেছেন। এমনকি অন্যান্য অভিনেতাদের লাইফস্টাইল থেকে পুরোপুরি আলাদা তিনি। অক্ষয় কুমার দৈনিক নিজস্ব লাইফস্টাইলে চলেন, যেখানে কোন বিলাসিতা নেই। জানা গিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে যান রাত্রিবেলায়, ৯ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন আবার উঠে পড়েন খুবই তাড়াতাড়ি ভোর সাড়ে চারটে।
ঘুম ভেঙে অক্ষয় কুমার প্রথম শরীরচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। প্রথমে তিনি হাঁটাহাঁটি করেন এরপর নিজস্ব জিমে গিয়ে কসরত করতে থাকেন বিভিন্নভাবে। তার ব্যক্তিগত কোন জিম ট্রেনার নেই, তিনি নিজের ইচ্ছা মতো যখন যেটা পছন্দ সেটাই করেন জিমে গিয়ে। তবে তিনি ভারী জিনিস নামানো উঠানো করেন না। তিনি একজন মার্শাল আর্ট এবং কিকবক্সিং এ প্রশিক্ষিত। তিনি কখনো দৌড়ান কখনো লাফান বা কখনো সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন আবার সাঁতারও কাটেন।
কসরত করার পর তিনি অনেকটা সময় মেডিটেশন করেন। নিজের এনার্জি এবং গতি বৃদ্ধি করার জন্য সপ্তাহে দুই তিনদিন বাস্কেটবল খেলেন। শরীরের উন্নতির জন্য কোনরকম স্টেরয়েড জাতীয় কিছু খান্ না। এমনকি অসুখ-বিসুখেও কোন ওষুধপত্র নেন না, গাছের পাতা দিয়েই তিনি রোগ সারিয়ে তোলেন। তিনি চা, কফি, মদ, সিগারেট ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখেন না, তবে তিনি মিষ্টি খেতে খুবই ভালোবাসেন আর দিনের অন্যান্য সময়ে খুবই পরিমিত খাবার খান।
আরও পড়ুনঃ একটা বাজিতে হেরে গিয়ে টুইংকেল খান্না বিয়ে করেছিলেন অক্ষয় কুমারকে
তিনি সন্ধ্যাবেলায় ডিনার সেরে নেন, তিনি বিশ্বাস করেন সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই ডিনার সেরে নেওয়া উচিত। এরপর দু’ঘণ্টা সময় নেন হজম করার জন্য। রাত নটায় ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ব্রেকফাস্ট থাকে এক গ্লাস দুধ, ডিম। এর ঠিক দুই ঘন্টা পরে আবার তর তাজা ফলমূল খান।
এছাড়াও তার সবজি খুবই পছন্দের খাবার এবং শুকনো খাবার খেতেও ভালোবাসেন। তার লাঞ্চে থাকে রুটি, সবজি, সেদ্ধ চিকেন এবং দই আর রাতে ডিনারে খুবই হালকা খাবার। খেতে ইচ্ছা করলেও অন্য কিছু ছুঁয়ে দেখেন না। এভাবেই তিনি তার ফিটনেস ধরে রেখেছেন।