নোট বাতিলের পর এবার সোনা নিয়ে বড়োসড়ো ঘোষণা কেন্দ্রের, দিতে হবে জরিমানা

নোট বাতিলের পর এবার বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সরকারের নজর পড়েছে গচ্ছিত সোনার উপরে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী ভারতে সোনার উপরে জরিমানার আদায়ের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার। কতটা পরিমাণ সোনা থাকবে সে বিষয়েও বাঁধাধরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। খুব শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চলেছে অর্থমন্ত্রক ও মন্ত্রিসভার আধিকারিকরা।

দেশ থেকে পুরোপুরি কাল নোট সাফাই করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও সে নিয়ে বিরোধী নেতারা এখনো পর্যন্ত তুমুল আক্রমণ করেছেন তাদের ভাষার মাধ্যমে কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদির নজর পড়েছে গচ্ছিত সোনার উপরে। খবর সূত্রে জানা গিয়েছে অপরিমিত হারে সোনা সঞ্চয় করা আছে যাদের উপরে পড়তে চলেছে বড়সড় জরিমানা।

Related image

একটি সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েকটি দেশ মিলে যে পরিমান সোনা আছে তার চেয়ে কয়েক বেশি পরিমাণ ভারতীয় নারীদের কাছে গচ্ছিত সোনার দ্রব্য রয়েছে। এবার সেই দিকেই নজর পড়েছে কেন্দ্র সরকারের আর তা নিয়েই এক বিরাট বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এবার কতটা পরিমাণ সোনা রাখা যাবে সেটাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে নিয়ম। বেশি থাকলে দিতে হবে জরিমানা এমনকি সোনার কেনার রশিদ না থাকলেও দিতে হবে কর।

তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে একটা মানুষের কাছে কতটা পরিমাণ জরিমানা করা হতে পারে যদি হিসাব বহির্ভূত গচ্ছিত স্বর্ণ দ্রব্য থাকে। জানা গিয়েছে ৩০-৩৩% শতাংশ কর দিতে হবে। টাকা পয়সার মতই অতিরিক্ত পরিমাণে গচ্ছিত সোনা রাখলে দিতে হবে জরিমানা। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হবে। এর বেশি পেরিয়ে গেলেই দিতে হবে সরকারকে কর।

সরকারি সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে ভারতীয়দের কাছে মোট সঞ্চিত রয়েছে ২০ হাজার টন। এবার যদি পারিবারিক সূত্রে সোনা পরিমাণ মাপা হয় তা আরও বেড়ে ১০ হাজার টন হবে হঠাৎ সর্বমোট ৩০ হাজার টন সোনা।

 

 

Image

জানা গিয়েছে ভারত প্রতিবছর বিদেশ থেকে ৯০০ টন সোনা আমদানি করে যার পিছনে খরচ হয় প্রায় ৩,০০,০০০ টাকার কাছাকাছি। তবে বেশিরভাগ সোনা সঞ্চিত থাকে এর ফলে লাভবান হয় না ততটা। শুধুমাত্র ক্ষতি হয় বিদেশি মুদ্রায়। এই ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করে দেখেছে, ওই গচ্ছিত সোনাকে যদি বাজারে কোনরকমে কাজে লাগানো যায়। এই সব বিষয়েই আলোচনা করে এমন এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে।

এখন এই খবর শোনার পর বহু ভারতীয় পরিবারের কপালে ভাঁজ পড়বে কারণ বেশিরভাগ পরিবারের মানুষের সোনার কেনার কাগজপত্র বা রশিদ নেই তাছাড়াও আরো এখানে প্রশ্ন উঠে আসছে কেউ যদি হিসাব বহির্ভূত সোনার পরিমাণ এর কথা স্বীকার না করে তাহলে সরকার কিভাবে টের পাবে? সোনা নিয়ে কেন্দ্র সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তা বাস্তবে কতটা সফল হবে তা সময়ই বলবে।