সেই প্রাচীনকাল থেকে নদীর সাথে মানব সভ্যতা গভীর সম্পর্ক রয়েছে কারণ এই নদীর উপর নির্ভরশীল করেই গড়ে উঠেছে জলবিদ্যুৎ কলকারখানা এমনকি নগর বসতি গুলি। কিন্তু কয়েকটি নদী আছে সেই জলে সোনা বয়ে চলে। ভারতবর্ষে এমন নদীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে আবার বিদেশেও আছে।
১) ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা নদী: কথিত আছে এই নদীর অগভীরেই অজস্র স্বর্ণ সম্পদ লুকিয়ে রয়েছে। এমনকি এই জলের সঙ্গে সঙ্গে সোনা বয়ে চলে। এই নদীটির উৎপত্তি হয়েছে রাঁচির পিসকা নামক একটি গ্রাম থেকে।
এখানে একটি সোনার খনি ছিল যে কারণেই এই নদীটির নাম রাখা হয়েছে সুবর্ণরেখা আর এই খনির সোনা নদীর জলে মিশে যেত। গ্রীষ্মের সময় সুবর্ণরেখার জল কমে গেলে নদীর তীরগুলিতে টুকরো টুকরো সোনা পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং আজও সেখানকার স্থানীয় মানুষেরা বালির মধ্যে সোনা খুঁজে পান।
২) খারকাই নদী: এই নদীটি হলো সুবর্ণরেখা নদীর একটি উপনদী। এটি বয়ে চলেছে জামশেদপুরের আদিত্যপুর এর মাঝ বরাবর। এই ক্ষুদ্র নদীটিতেও নাকি সোনা পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে সুবর্ণরেখার সাথে যোগসূত্র থাকার কারণেই সোনা ভেসে আসে এই নদীতে।
তাই সারা বছর এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সোনার সন্ধান করতে দেখা যায়। তারা জানিয়েছেন যে, সারাদিন যদি সোনার খোঁজ করা হয় সামান্য হলেও চালের আকারে সোনা খুঁজে পাওয়া যায়।
৩) ক্লনডাইক নদী: এই নদীটি কানাডা দসন শহরের ইউকন নদীর একটি উপনদী। ওজিলভিয়ে নামক একটি পর্বত থেকে এই নদীটি সৃষ্টি হয়েছে। এই নদীটির আশেপাশে যে কেউ সোনা খুঁজে পায়। ১৯০০ এর গোড়ার দিকে এই নদীতে প্রথম সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।
এক মার্কিন খনিজ সন্ধানকারী এই খবরটি ছড়িয়ে দেওয়ার পর সেখানে লক্ষ লক্ষ সোনা সন্ধানকারী এখানে এসে ধনী হয়ে যান। এর আগে এই দুর্গম অঞ্চলে বসবাস করত মাত্র ৫০০ জন, এরপর দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০,০০০।
এই নদীতে আজও সমানে সোনা খননের কাজ চলেছে। এই নদীর পাড়ে বরফ হয়ে যাওয়া বালিগুলি তুলে এনে বরফ গলিয়ে সোনা উদ্ধার করা হয়। এই অঞ্চলে সোনা উত্তোলন নিয়ে কোন আইনি বাধা বিপত্তি নেই। আপনি চাইলেও এই অঞ্চলে গিয়ে সোনা খুঁজতে পারেন।