আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তখনো টি-টোয়েন্টি আসেনি। আজ থেকে ২০-২২ বছর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ রানের গণ্ডি পার করতে পারলেই নিরাপদ মনে করা হতো। তবে বিশ্বকাপের মতো ফাইনাল ম্যাচে যদি সাড়ে ৩৫০ রানের গণ্ডি পার করা যায় তাহলে সোনায় সোহাগা।
আর সেটাই হয়েছিল ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা ৩৫৯ রান তুলেছিল ২ উইকেট হারিয়ে। এরপর ভারতীয় ব্যাটসম্যানেরা রান তাড়া করতে নেমে একে একে ফিরে যায় ও ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়ে অশ্রুজলে বিদায় নিয়েছিল সৌরভ-শচীনেরা।
রীতিমতো এই ম্যাচে রিকি পন্টিং শেষের দিকে ভারতীয় বোলার জাভাগাল শ্রীনাথ, আশিস নেহরা ও জাহির খানদের বেধড়ক পিটিয়েছিলেন। ৮টি ছক্কা এবং ৪টি চারের সাহায্যে ১২১ বলে ১৪০* রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। ৩৫ ওভারের পর তিনি আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন এবং এই সময় তিনি ৫৬ বলে ৯৬ রান তোলেন।
পন্টিং ম্যাচের আগে সবাইকে বলেছিলেন, যে ভারতের বিরুদ্ধে ৩০০ রান টার্গেট দেওয়া যথেষ্ট নয়, তাই সকলকে প্রস্তুতি থাকতে হবে। এই ভেবেই তিনি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। এরপরেও ডারেন লেম্যান, অ্যান্ড্রু সাইমন্ড-র মত বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানেরা ছিলেন। অপরপ্রান্তে শেষ পর্যন্ত টিকে ছিলেন ড্যামিয়েন মার্টিন (৮৮*)।
Given we've all got a bit of time on our hands as we stay at home, thought I'd go through what I've kept from my career and share some of it with everyone on a regular basis – this is the bat I used in the 2003 World Cup final. pic.twitter.com/meoBP6NJvg
— Ricky Ponting AO (@RickyPonting) March 23, 2020
হঠাৎ এতদিন পর রিকি পন্টিং ওই ম্যাচে তিনি কেন বেধড়ক পিটিয়েছিলেন সেই কথাই তুলে ধরেছেন। যে ব্যাট দিয়ে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছিলেন তার ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘ঘরে থাকায় সবার হাতে যেহেতু সময় আছে, ভাবলাম কেরিয়ারে যা যা রেখে দিয়েছি সেসব ধীরে ধীরে সবার সঙ্গে শেয়ার করে নিই। ২০০৩ বিশ্বকাপে এই ব্যাট দিয়েই খেলেছিলাম।’