বিশ্বের বড় বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলির চাইতে আইপিএল অর্থাৎ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এবার আইপিএল এর ১৩ তম আসর বসতে চলেছে আগামী মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে। তবে এবার কিংবদন্তী যুবরাজ সিংকে আইপিএল খেলতে দেখা যাবে না কারণ তিনি বিসিসিআই এর সাথে সমস্ত চুক্তিপত্র শেষ করেছেন। কিন্তু যুবরাজ সিং আইপিএলে এমন কিছু কৃতিত্ব অর্জন করেছেন যা আজও করা সম্ভব হয়নি।
শেষবার তাকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলতে দেখা গিয়েছিল। এক কোটি টাকার বিনিময়ে নিতা আম্বানি দল তাকে কিনে নেয়। যুবরাজ বিশেষ কিছু করতে পারেনি বলে অধিকাংশ ম্যাচ তাকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়। তবে এর ঠিক ১০ বছর আগে, যুবরাজের চেহারাটা পুরো উল্টো ছিল। তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে নিলামের সময় তুমুল যুদ্ধ হতো।
২০০৯ সালে অর্থাৎ আইপিএলে দ্বিতীয় সিজনে ভারতে ভোট সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এই টুর্নামেন্টের আসর গিয়ে বসে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায়। আর এখানেই বাজিমাত করেছিলেন যুবরাজ সিং। এই সিজনে তিনি দুবার হ্যাটট্রিক করেছিলেন মাত্র ১৬ দিনের মাথায়। ব্যাট হাতেও তিনি যেভাবে জ্বলে উঠতেন, বল হাতেও যথেষ্ট সফল ছিলেন।
যুবরাজের প্রথম হ্যাট্রিক: পাঞ্জাবের হয়ে খেলতে নেমে তার প্রথম হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে, ১লা মে ডারবানে। পরপর তিন বলে জ্যাক ক্যালিস, রবিন উথাপ্পা এবং মার্ক বাউচারকে আউট করে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর প্রথমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তোলে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৮ রানে হেরে যায়।
যুবরাজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক: মাত্র ১৬ দিনের মাথায় ১৭ই মে জোহানেসবার্গে ডেকান চার্জার্স এর বিরুদ্ধে যুবরাজ সিং আবার হ্যাট্রিক করেন। যুবরাজের ঘাতক স্পিনে পরপর তিন বলে হার্শেল গিবস, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস এবং ভেনুগোপাল রাও আউট হন। এই ম্যাচে পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তোলে এবং ১ রানে জয় লাভ করে।
ভিডিও দেখুনঃ