গত রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল। শেষ অবধি, ভারত শ্রীলংকাকে ৯০ রানে পরাজিত করে, ৪৫.২ ওভারে প্রতিপক্ষকে ২০৭ রানে গুটিয়ে দেয়। যাইহোক, শ্রীলংকার দিক থেকে একজন খেলোয়াড় খবরের শিরোনামে এসেছেন, তিনি হলেন ১৭ বছর বয়সের ডানহাতি ফাস্ট বোলার ম্যাথিশা পাথিরানা।
কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার বোলিং অ্যাকশনে হুবহু নকল রেখেছেন তিনি। পাথিরানা আটটি ওভারে ৪৯ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। কিন্তু এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার ১৭৫ কিমি বেগে বল করে সকলের ভুরু কুঁচকে দিয়েছেন। এর আগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটে শোয়েব আক্তার সর্বোচ্চ গতিতে (১৬১.৩ কিমি/ঘ.) বল করে ছিলেন ২০০৩ সালে বিশ্বকাপে।
ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের চতুর্থ ওভারে, পাথিরানা দ্রুত গতিতে ডেলিভারি করেন। তবে বলটি লেগসাইড দিয়ে বেরিয়ে যায়। এরপর বলটিকে উইকেটরক্ষক তালুবন্দী করে এবং আম্পায়ার বলটিকে ওয়াইড বলে ঘোষণা করেন। তারপরে স্ক্রিনের ডান কোণে, বলের গতিটি ১০৮ মাইল প্রতি ঘন্টা দেখানো হয় (১৭৫ কিমি)। এটি গতির গণনা করার সময় কিছু প্রযুক্তিগত গণ্ডগোলের কারণে হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে কোনও স্তরে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে দ্রুততম বল ছিল। এর আগে, ২০০৩ বিশ্বকাপের সময় কেপটাউনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শোয়েব আখতার (১৬১.৩ কি.মি), শন টেইট এবং ব্রেট লি-দের ডেলিভারি গুলি ১৬০ কিলোমিটার ছুঁয়েছে। আপাতত, এই রেকর্ডটি এখন এই শীলঙ্কান তরুণ বোলারের নামে হলো।
পাথিরানা এর আগেও শিরোনামে এসেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, তিনি ছয়টি উইকেট নিয়েছিলেন, মারাত্মক এবং পিন-পয়েন্ট ইয়ার্কারের সাহায্যে ব্যাটসম্যানদের একাই বিধ্বস্ত করেছিলেন।
দেখুন ভিডিও:
— venu_gopal_rao_fans (@CricketVideos16) January 20, 2020