যে সময় ভারতীয় দল গড়াপেটা-কেলেঙ্কারিতে কলুষিত হয়েছিল ঠিক সেই সময়ে অবতার এর ভূমিকায় আসেন সৌরভ গাঙ্গুলী। তরুণ তুর্কি দিয়ে নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন একটি শক্তিশালী দল। ‘গড অব অফসাইড’ খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকার বললেও ভুল হবে না। ২০০৩ বিশ্বকাপে কঠিন প্রতিপক্ষদের পিছনে ফেলে সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ভারতীয় দল ফাইনালে ওঠে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অস্ট্রেলিয়া কাছে পরাজিত হয়।
আজকের প্রতিবেদনে যে ঘটনাটির সম্পর্কে বলা হয়েছে, ওই ম্যাচটি ছিল ১৯৯৮ সালের কোকাকোলার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচ; শারজায় অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ভারতীয় দল মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলে জিম্বাবুয়ে দল ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায়। জাভাগাল শ্রীনাথ ও অনিল কুম্বলে যথাক্রমে ৩টি ও ২টি উইকেট নিয়েছিলেন।
এরপর ভারতের দুই ওপেনার শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৩০ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। শচীন টেন্ডুলকার ১২৪* রান ও সৌরভ গাঙ্গুলী ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এই ম্যাচের ২৬ ওভারে বল করতে আসা গ্রান্ট ফ্লাওয়াকে সৌরভ গাঙ্গুলী দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকান, দুটোই স্টেডিয়ামের বাইরে চলে যায়। এরপর ২৮ তম ওভারে আরেকটি গগনচুম্বী ছক্কা হাঁকান তিনি। সবগুলোই মাঠের বাইরে যেতে দেখে মাঠের দর্শকেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। সে সময় ধারাভাষ্যকারেরা গ্যালারির ওই অংশের নাম দিয়েছিলেন ‘গাঙ্গুলীর ছাদ’।
দেখুন সেই ভিডিও:
https://youtu.be/N58QU4IzwUY
পরিসংখ্যানের কথা বললে, সৌরভ গাঙ্গুলী ৩১১টি ওয়ানডে ম্যাচে ৪০.৭৩ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১১,৩৬৩ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২২টি সেঞ্চুরি ও ৭২টি হাফ সেঞ্চুরি। তার ওডিআই ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ১৮৩। এছাড়াও বল হাতে তিনি ১০০টি উইকেট নিয়েছেন।