টেস্ট খেলাকে প্রকৃত ক্রিকেট বলে মনে করেন ক্রীড়াবিশেষজ্ঞরা। এখানে ব্যাটসম্যানদের কেবল আসল দক্ষতার পরিচয় ঘটে। এখানে বড় পার্টনারশিপ হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
আজকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রানের যে পাঁচটি পার্টনারশিপ হয়েছে; এবার সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
৫) বিরাট কোহলি – রাহানে: ৩৬৫ রান
২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে চতুর্থ উইকেটে বিরাট কোহলি (২১১) ও অজিঙ্কা রাহানের (১৮৮) জুটিতে ওঠে ৩৬৫ রান। এই বিশাল দুই ইনিংসের জন্য ভারতীয় দল ৫৫৭ রান ও পরের ইনিংসে ২১৬ রানে ডিক্লেয়ার করে। নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২৯৯ ও পরের ইনিংসে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায়। এরফলে ভারতীয় দল ৩২১ রানে জয়লাভ করে।
৪) মুরলী বিজয় – পুজারা: ৩৭০ রান
২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে ভারতীয় ওপেনার মুরলী বিজয় (১৬৭) ও চেতেশ্বর পূজারার (২০৪) জুটিতে ৩৭০ রান উঠেছিল। এর ফলে ভারতের দলের স্কোর কার্ড গিয়ে দাঁড়ায় ৫০৩ রানে। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রান ও পরের ইনিংসে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায়। ভারতীয় দল একটি ইনিংস সহ ১৩৫ রানে জয় লাভ করে।
৩) ভিভিএস লক্ষণ – দ্রাবিড়: ৩৭৬ রান
২০০১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনে ভারতীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫৭ রান তুলেছিল। পঞ্চম উইকেটে ভিভিএস লক্ষণ (২৮১) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (১৮০) দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ৩৭৬ রান যোগ হয়। যদিও ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে পিছিয়ে ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে ১৭১ রানে পরাজিত করে।
২) বীরেন্দ্র শেহবাগ – দ্রাবিড়: ৪১০ রান
২০০৬ সালে পাকিস্তান সফরে ভারতীয় দলের দুই ওপেনার বীরেন্দ্র শেহবাগ (২৫৪) ও রাহুল দ্রাবিড়ের (১২৮*) জুটিতে ওঠে ৪১০ রান। যদিও পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৬৭৯ রান তোলে এবং শেষ পর্যন্ত শেহবাগ ও দ্রাবিড়ের সেঞ্চুরিতে ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়।
১) বিনু মানকদ – পঙ্কজ রায়: ৪১৩ রান
১৯৫৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্টে ভারতীয় দলের দুই ওপেনার বিনু মানকদ (২৩১) ও পঙ্কজ রায় (১৭৬) এর জুটিতে ৪১৩ রান ওঠে। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় দল ৫৩৭ রানে ডিক্লেয়ার করে। এরপর নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২০৯ রান এবং পরের ইনিংসে ২১৯ রানে গুটিয়ে যায়। ভারতীয় দল একটি ইনিংস সহ ১০৯ রানে জয়ী হয়।