প্রতিটি ক্রিকেটারের আইসিসি ট্রফি জেতার একটি স্বপ্ন থাকে। অনেকেই পরিকল্পনা মাফিক শেষবারের মতো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন ও দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলকে চ্যাম্পিয়ন করে অবসর ঘোষণা করে দেন। যদিও এতে অবাক হওয়ার তেমন কিছুই নেই।
আজকের প্রতিবেদনে তেমনই ৬ জন ক্রিকেটারের সম্পর্কে বলা হয়েছে বলা হয়েছে, যারা কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে আইসিসি ট্রফি জিতেছেন।
১) ইমরান খান:
১৯৯২ বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগেই ইমরান খান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এই টুর্নামেন্ট খেলার পরেই অবসর নেবেন। এরপর ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয় এবং তার বিদায় বেলা, সব মিলিয়ে একটি অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে পাকিস্তানি দল ও ক্রিকেটপ্রেমীরা।
২) গ্লেন ম্যাকগ্রা:
২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ের পরই গ্লেন ম্যাকগ্রা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দেন। গোটা টুর্ণামেন্টে অসাধারণ পারফরম্যান্স করার জন্য তিনি প্লেয়ার অফ দ্যা সিরিজ পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন।
৩) মাইকেল ক্লার্ক:
সমস্ত কিংবদন্তি অজি ক্রিকেটারদের অবসর নেওয়ার পরে অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন মাইকেল ক্লার্ক। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে তিনি অস্ট্রেলিয়াকে পঞ্চম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন করেন। এরপর চাইলে আরো কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু তিনি অবসর ঘোষণা করে দেন।
৪) বিজে ওয়াটলিং:
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক বিজে ওয়াটলিং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ম্যাচের আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তোলার পিছনে তার বড় অবদান ছিল। শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে তেমন কিছু না পারলেও উইকেট রক্ষক হিসেবে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন।
৫) ব্র্যাড হ্যাডিন:
গিলক্রিস্টের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্র্যাড হ্যাডিন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে কিউইদের হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। এরপর অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এর মতোই একই পথে হাঁটা দেন তিনিও।
৬) রোহন কানহাই:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অন্যতম সেরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার ছিলেন রোহন কানহাই। তার সময়ের তিনি দাপুটে ব্যাটসম্যান ছিলেন। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন। আর এই ম্যাচে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন কিন্তু এরপরে আর একটিও ওডিআই ম্যাচ খেলেননি।