ভারতীয় দলের ৫ দুর্ভাগা খেলোয়াড়, যাদের ভাগ্য কখনও সাথ দেয়নি

ভারত বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি দল এবং ক্রমশ এই দলে খেলোয়াড়দের সুযোগ পাওয়ার প্রতিযোগিতা বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয় দলে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে সাফল্য অর্জন করেছেন। অন্যদিকে একাধিক কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ পারফরম্যান্স করার পরেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তাদের ভাগ্য কখনো সহায়ক হয়নি। এই প্রতিবেদনের ভারতীয় দলের সেই ৫ দুর্ভাগা খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়া হলো:

৫) সঞ্জু স্যামসন:

বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত খেলোয়াড় সঞ্জু স্যামসন। ২০১৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হলেও টানা ৫-৬ বছর পর দলের বাইরে কাটান। এদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট হোক বা আইপিএলে অসাধারণ পারফরম্যান্স করার পরেও তিনি নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারেননি। সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন তা সত্ত্বেও নির্বাচকদের আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দল থেকে বাদ পড়েছেন। সঞ্জু স্যামসন তার শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৭ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। 

৪) অমিত মিশ্র:

ভারতীয় দলের সবচেয়ে দুর্ভাগা খেলোয়াড়দের মধ্যে অমিত মিশ্র একজন। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করলেও হরভজন সিং ও অনিল কুম্বলের মতো বিখ্যাত স্পিনারের কারণে তিনি সুযোগ পাননি। এরপর রবীন্দ্র জাদেজা ও আশ্বিনের কারণেও তার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়ে। অমিত মিশ্র ভারতের হয়ে ২২ টেস্টে ৭৬ উইকেট, ৩৪ ওডিআইতে ৬৪টি উইকেট ও ১০টি টি-টোয়েন্টিতে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি তার শেষ ওয়ানডে ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নেওয়ার পরেও আর দলে ফেরার সুযোগ হয়নি।

৩) ইরফান পাঠান:

ইরফান পাঠানকে পরবর্তী কপিল দেব হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তিনি তার বোলিং দিয়ে এবং শীর্ষে থাকা যেকোনও খেলোয়াড়কে সমস্যায় ফেলতেন। পাঠান অবশ্য দলে নিজেকে শক্ত করতে ব্যর্থ হন। এটি মূলত বিভিন্ন অধিনায়কের অধীনে খেলার কারণে হয়েছে। ধোনি অবশ্য পাঠানকে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন কিন্তু ২০১২ সাল থেকে তিনি দলে জায়গা করতে ব্যর্থ হন। শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নিয়েও আর কখনো ভারতীয় দলে ফিরতে পারেনি। 

২) আম্বাতি রাইডু:

আম্বাতি রাইডুর শৈশবের খেলা দেখে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন তিনি বড় মঞ্চের খেলোয়াড় হবেন। সত্যি তেমনটাই হয়েছিল কিন্তু তার ভাগ্য সাথ দেয়নি। রাইডু ভারতের হয়ে ৫৫টি ওয়ানডেতে ভালো স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৪৭ গড়ে ১৬৯৪ রান করেছিলেন, কিন্তু এরপরেও ভারতীয় দল ২০১৯ বিশ্বকাপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করেনি, যে কারণে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। সেই সময় তার মতো একজন শক্তিশালী মিডিল অর্ডারের খুবই প্রয়োজন ছিল

১) ওয়াসিম জাফর:

রঞ্জি ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে ওয়াসিম জাফর একজন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিয়ে ২০০০ সালে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪ ইনিংসে ৪৬ রান করে বাদ পড়েন। এরপর ২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেন। যদিও একজন ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন কিন্তু গম্ভীর ও শেহবাগের জুটির উত্থানে জাফর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে বড় করে তুলতে পারেননি। সুতরাং তার ভাগ্য কখনও সহায়ক হয়নি।