আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি করেছেন এই ৫ জন ব্যাটসম্যান

আইপিএল মানেই চার-ছক্কার বৃষ্টিপাত ও দর্শকদের প্রবল উত্তেজনা। এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলায় যে যত কম বলে পারেন দ্রুততম রান সংগ্রহ করে দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যান। তবে এমনও কিছু ব্যাটসম্যান রয়েছেন যারা খুবই রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। অর্থাৎ তাদের ব্যাট থেকে হাফসেঞ্চুরি এসেছে খুবই ধীর গতিতে। এই প্রতিবেদনের তেমনই ৫ জন ব্যাটসম্যানের কথা বলা হয়েছে।

১) জেপি ডুমিনি: ৬৩ বল

এই তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন খেলোয়াড় জেপি ডুমিনি, যিনি আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০০৯ সালে তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এই ম্যাচে জেপি ডুমিনি ৬৩ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন।

২) পার্থিব প্যাটেল: ৫৫ বলে

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল। তিনি ২০১০ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলার সময় পার্থিব প্যাটেল ৫৩ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন। পাঞ্জাবের বিপক্ষে এই ম্যাচে তিনি ৫৭ রান করেন এবং সিএসকের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন।

৩) ব্রেন্ডন ম্যাককালাম: ৫২ বলে

এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। যিনি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। একজন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হওয়া সত্বেও তার আইপিএলের এই ইনিংসটি দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ২০১০ সালে কেকেআরের হয়ে খেলার সময় ম্যাককালাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। 

৪) রবিন উথাপ্পা: ৫২ বল

এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন রবিন উথাপ্পা আইপিএলে ইতিহাসের সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০১২ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলার সময় রবিন উথাপ্পা এই রেকর্ড করেছিলেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে তিনি ৫২ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।

৫) ম্যাথু হেডেন: ৫১ বল

এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রাক্তন খেলোয়াড় ম্যাথু হেডেন, যিনি একজন দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান হওয়া সত্ত্বেও আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ২০০৯ সালে সিএসকের হয়ে খেলার সময় তিনি ৫১ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে এই ম্যাচে ম্যাথু হেডেন ৫১ বলে তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ও ৫৭ বলে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন।