হ্যাটট্রিক অত্যন্ত বিরল ঘটনা। পরপর তিন বলে ৩ ব্যাটসম্যানকে আউট করা যে কোনও মূল্যবান কৃতিত্বের চেয়ে কম নয়। একদিনের আন্তর্জাতিকে গত পাঁচ দশকে ৪৮টি হ্যাটট্রিক নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ৪ জন বোলার ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে গত ৫-৬ বছরের মধ্যেই এই চারটি ঘটনা ঘটেছে।
☞ আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, ওয়ানডে অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন যে ৪ বোলার, এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১) তাইজুল ইসলাম: ২০১৪ সাল
জিম্বাবুয়ে প্রথম ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তোলে। কিন্তু ১২০/৬-এ বিধ্বস্ত হয়। অভিষেককারী আরিফ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম তার ষষ্ঠ ওভারে শেষ দুটি বলে উইকেট তুলে নেন। এরপরের ওভারের প্রথম বলে আবারও একটি উইকেট নিয়ে তার হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন। এর ফলে তাইজুল ইসলাম অভিষেক ওয়ানডেতে প্রথম হ্যাট্রিককারী বোলার হন।
২) কাগিসো রাবাদা: ২০১৫ সাল
ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ার কারণে ওয়ানডে ম্যাচটি ৪০ ওভারের হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে বোলিং নিয়ে ২০ বছর বয়সী কাগিসো রাবাদার হাতে বল তুলে দেয়। তার দ্বিতীয় ওভারে তামিম ইকবাল লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে এই পেসার তার অভিষেক ওয়ানডেতে হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন। এছাড়াও অভিষেক ম্যাচে ৬-১৬ উইকেট নিয়ে তার সেরা বোলিং ফিগার হয়।
৩) ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা: ২০১৭ সাল
গলেতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবুয়ের প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কার স্পিনারদের বিপক্ষে নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ১৫৭/৭ এ তারা ইতিমধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। নবাগত লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তার তৃতীয় ওভারে পরপর তিন বলে ৩টি উইকেট নিয়ে তাদের অলআউট করেন। ম্যাচটি শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে জয় লাভ করে।
৪) শেহান মাদুশাঙ্কা: ২০১৮ সাল
ত্রিদেশীয় সিরিজের টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাদুশাঙ্কা একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক করেন। ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ২২১ রান তুলেছিল। ১৪১/৬ এ বাংলাদেশ বিধ্বস্ত হয়। সমস্ত আশা নির্ভর করছিল মাহমুদউল্লাহর উপর। এরপর মাদুশাঙ্কা তার পরের দুই ওভারে হ্যাটট্রিক করে সমস্ত আশা শেষ করে দেন। আশ্চর্যের বিষয়, এই ম্যাচের পর তিনি জাতীয় দলে আর ফিরতে পারেন নি।