বিশ্বের ৩ জন খেলোয়াড় যারা বন্ধুকে ধোঁকা দিয়ে তার স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন

কাছের মানুষটি যখন সবচেয়ে বড় ধোঁকা দেয় তার থেকে কষ্টের আর কিছু না! এমনটাই হয়েছে বিশ্বের কিছু খেলোয়াড়ের সাথে, যার সবচেয়ে কাছের বন্ধুই বন্ধুকে ধোঁকা দিয়ে তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেছেন। এর ফলে দুই বন্ধুর সম্পর্ক এক নিমিষেই শেষ হয়ে যায় এবং পরবর্তীকালে তারা একে অপরকে শত্রুর নজরে দেখে। এবার বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক:

১) মুরলী বিজয়: 

ভারতীয় দলের খেলোয়াড় মুরলী বিজয় ও দীনেশ কার্তিক দুজনেই খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। সেই সূত্রে দীনেশ কার্তিক তার স্ত্রী নিকিতার সাথে মুরলীর পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর তাদের মধ্যেও ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্ব কখন প্রেমে রূপান্তরিত হয় তারাও জানতে পারেনি। এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে দীনেশ কার্তিক অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েন এবং নিকিতাকে ডিভোর্স দেন। এরপর মুরলী নিকিতাকে বিয়ে করে।

২) উপুল থারাঙ্গা:

শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বাঁহাতি ওপেনার উপুল থারাঙ্গার বন্ধুর স্ত্রী নীলঙ্কাকে বিয়ে করেছেন। তিলকরত্নে দিলশান তার সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। তার দেশের রীতি রেওয়াজ মেনে নীলঙ্কাকে বিয়ে করেন দিলশান এবং তাদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। এর কিছু সময় পর তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি শুরু হলে দিলশান ডিভোর্স দেন। এরপর তার বন্ধু উপর উপুল থারাঙ্গার সাথে নীলঙ্কার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে ও তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

৩) টনি পার্কার:

বাস্কেটবল প্লেয়ার টনি পার্কার এবং ব্রেন্ট ব্যারির মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল কিন্তু এক ঝটকায় তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ব্রেন্ট আসলে টনি পার্কার ও তার স্ত্রীর ইরিনের সম্পর্কের কথা জানতে পারলে মর্মাহত হয়ে পড়ে। এরপর ব্রেন্ট ব্যারিও তার তার বৈবাহিক জীবন রক্ষা করতে পারেননি। অবশেষে ইরিন তাকেই ডিভোর্স দিয়ে টনি পার্কারকে বিয়ে করেন।